করোনা অতিমারি বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনযাপন। সাধারণ সর্দিকাশিই মানুষতে আতঙ্কিত করে ছেড়েছে। দরকার পড়েছে ওষুধের। আর তাতে ব্যাপক বিক্রিবাটা হয়েছে ডোলো ৬৫০-র (Dolo 650)।
অতিমারিকালে সবচেয়ে বেশি Dolo 650 প্রেসক্রিপশনে লিখেছেন চিকিৎসকরা। এই সময়ে ৩৫০ কোটির বেশি বিকিয়েছে Dolo 650 ট্যাবলেট। প্রায় ৬৫৭ কোটি টাকার Dolo 650 বিক্রি হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় Dolo 650 বিক্রি তুঙ্গে উঠেছিল। ২০২১ সালে এপ্রিলে ৪৯ কোটি টাকার ওষুধ বিকিয়েছিল। স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সংস্থা IQVIA-র তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এটাই ওষুধের সর্বাধিক বিক্রি। এজন্যেই এই ওষুধকে ভারতের জাতীয় ট্যাবলেট বলা শুরু হয়ে গিয়েছে।
Dolo 650 আসলে প্যারাসিটামল। ২০১৯ সমস্ত ধরনের প্যারাসিটামল ব্র্যান্ড ৫৩০ কোটি টাকার বিক্রি করেছিল। ২০২১ সালে তা ৯২৪ কোটি টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল।
২০২১ সালে Dolo সর্বাধিক বিক্রিত অ্যান্টি ফিভার ওষুধের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। টার্নওভার ৩০৭ কোটি টাকা। ২৩.৬ কোটি টাকার ওষুধ বেচে ষষ্ঠ স্থানে ক্রোসিন।
১৯৭৩ সালে জিসি সুরানার সংস্থা মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেড ৬৫০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল ডোলো ৬৫০ নামে বিক্রি করতে শুরু করে। অন্য সংস্থা তখন ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল বেচত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোজাসাপ্টা নাম কার্যকর হয়েছে ডোলোর বিক্রিতে। পাশাপাশি ৬৫০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল থাকায় বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জ্বর কমাতে কার্যকরীও।