scorecardresearch
 

Luni River : ভারতের এই নদী পাহাড় থেকে নেমে মাঝপথেই হয় অদৃশ্য! জলের স্বাদ নোনতা-মিষ্টি

বেশিরভাগ নদীই সাগরে গিয়ে মেশে। কিছু আবার উপনদী হয়ে সাগরে পৌঁছায়। তবে কিছু নদী আছে বিশেষ। যেগুলির গতিপথ অনন্য। যেমন, আমাদের দেশেই এমন একটি নদী আছে, যেটির উৎপত্তি পাহাড় থেকে, কিন্তু সেটির সঙ্গম সাগরে হয়নি। চলুন নদীটীর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement
লুনি নদী লুনি নদী
হাইলাইটস
  • রাজস্থানের লুনি নদী অনন্য
  • উৎপত্তি আজমেরের পাহাড়ে
  • কচ্ছের রনে হয় বিলুপ্ত

ভারত নদী মাতৃক দেশ। সারা দেশে শত শত নদী আছে। বেশিরভাগ নদীই সাগরে গিয়ে মেশে। কিছু আবার উপনদী হয়ে সাগরে পৌঁছায়। তবে কিছু নদী আছে বিশেষ। যেগুলির গতিপথ অনন্য। যেমন, আমাদের দেশেই এমন একটি নদী আছে, যেটির উৎপত্তি পাহাড় থেকে, কিন্তু সেটির সঙ্গম সাগরে হয়নি। চলুন নদীটীর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

নদীটির উৎপত্তি আজমের জেলায়
এখানে রাজস্থানের লুনি নদীর কথা বলা হচ্ছে। নদীটির উৎপত্তি আজমের জেলার ৭৭২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত নাগ পাহাড়ে। তারপর নদীটি দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানের নাগৌর, যোধপুর, পালি, বারমের, জালোর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গুজরাটের কচ্ছ জেলায় পৌঁছেছে। সবশেষে কচ্ছের রনে নদীটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।

অনেক নামে পরিচিত
মানুষ এই নদীটিকে অনেক নামে চেনেন। রাজস্থানের কিছু এলাকায় একে লুনি নদী বলা হয়। জালোর জেলায় একে বলে নেড়া বা রেল। মহাকবি কালিদাস লুনি নদীকে সলিলা নদী বলে অভিহিত করেছিলেন। এর পাশাপাশি এটি পুষ্কর উপত্যকায় সাক্রি নদী নামেও পরিচিত।

সেচের প্রধান উৎস
নদীটি ৪৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। রাজস্থানে এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩৩০ কিমি, বাকিটা গুজরাটে প্রবাহিত। এর প্রধান উপনদীগুলি হল জোওয়াই, সুকরি এবং জোজারি। এই নদীই রাজস্থানে সেচের প্রধান উৎস।

নদীর অনন্য বিষয়
এই নদীর একটি অনন্য বিষয় আছে। নদীর জল অর্ধেক মিষ্টি, আর অর্ধেক নোনা। অর্থাৎ আজমের থেকে বারমের পর্যন্ত এই নদীর জল মিষ্টি। অন্যদিকে এর জল নোনা হয়ে যায়। আসলে, এই নদীটি রাজস্থানের মরুভূমির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে বালিতে উপস্থিত লবণের কণা তাতে মিশে গিয়েছে। ফলে লবণাক্ত হয়ে গিয়েছে জল।

আরও পড়ুন - গ্রিন টি খেয়েও ওজন কমছে না, খাওয়ার নিয়ম জানেন তো?

Advertisement

আরও পড়ুন - বর্ষাকালে যে খাবারগুলি ভুলেও পেটে দেবেন না, বিপদ বলে আসে না...


 

Advertisement