Danish Kaneria: 'ধর্ম বদলাতে চাপ দিত',আফ্রিদির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কানেরিয়া

পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া হিন্দু হওয়ায় নিজের দেশে লাঞ্ছিত। তিনি নিজেই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। দানিশ জানান, পাকিস্তান দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বারবার তাঁকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করেননি। ৪২ বছর বয়সী দানিশ কানেরিয়া, Aaj Tak-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে পাকিস্তানের হিন্দুদের অবস্থা,নামাজ পড়া এবং ধর্মান্তরকরণের মতো অনেক বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। 

Advertisement
'ধর্ম বদলাতে চাপ দিত',আফ্রিদির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কানেরিয়া দানিশ কানেরিয়া

পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া হিন্দু হওয়ায় নিজের দেশে লাঞ্ছিত। তিনি নিজেই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। দানিশ জানান, পাকিস্তান দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বারবার তাঁকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করেননি। ৪২ বছর বয়সী দানিশ কানেরিয়া, Aaj Tak-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে পাকিস্তানের হিন্দুদের অবস্থা,নামাজ পড়া এবং ধর্মান্তরকরণের মতো অনেক বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। 

'পাকিস্তানে কোনো হিন্দু উচ্চ পদ পাননি'
দানিশ কানেরিয়া বলেছেন- 'আমি আমার দল বা পিসিবি বোর্ডের কাছ থেকে কোনও সমর্থন পাইনি, কারণ তারা ভয় পেয়েছিল যে আমি তাদের রেকর্ড ভেঙে ফেলব। পাকিস্তানে কোনো হিন্দু কোনো বড় পদে অধিষ্ঠিত হননি। কিন্তু ভারতে তা হয় না। সেখানে সব ধর্মের মানুষ খেলে। তারা আমার অবস্থা খুব খারাপ করে দিয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বরের উপর আমার বিশ্বাস ছিল। শারজিল খান ম্যাচ ফিক্স করেছিল এবং অন্য খেলোয়াড়রাও তাই করেন। সবাইকে ফিরিয়ে আনা হলেও, আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি।'

প্রাক্তন পাকিস্তানি তারকা আরও বলেছেন- 'ভারতের মানুষ একে অপরের পাশে থাকে। যখন একটি টুনামেন্টে শামিকে ট্রোল করা হয়েছিল, কোহলি এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা এগিয়ে এসে শামির পাশে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এটা শুধু শামির কথা নয়। সঙ্গে ছিলেন ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও আজহারউদ্দিন। আজহারউদ্দিনের সাথেও অনেক কিছু ঘটেছিল, কিন্তু সবাই তাঁর পাশে ছিল। ভারতে সব ধর্মকে সম্মান করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানে তা হয় না।
'সকালের নামাজের জন্য ডাক আসত'
ড্রেসিংরুমে দানিশের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়েছিল ? এ বিষয়ে তিনি বলেন- 'ইনজামাম উল হকের অধিনায়কত্বে আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ার ছিল। প্রতিবার আমাকে বলতেন এই ধরনের কথাবার্তায় কান না দিতে। বলতেন, মনোযোগ দিও না। সকালের নামাজের জন্য ডাক পেতাম। কিন্তু আমি যেতাম না। ইনজামামের পর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়। আমি জানতে পেরেছি আমাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

Advertisement

বর্তমান পাকিস্তানি দলের মাঠে নামাজ পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন- 'পাকিস্তান দল এটা করছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নামাজ পড়লে ঠিক আছে, তবে ড্রেসিংরুমে বা আলাদা ঘরে। মাঠের মধ্যে নয়।আমরা কি মাটিতে উপাসনা করি? নাকি মাঠে পুজো হয়? শামি বা পাঠান কি নামাজ পড়ে না? জয় শ্রীরামের দিকে আঙুল তুলেছে পাকিস্তানিরা। আমি আপনাকে বলি যে তিনি জয় শ্রী রাম বলে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। 

POST A COMMENT
Advertisement