অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই ফের বিদায় নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচের শেষদিকে রিভিউ নিয়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। উইকেট পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্যালারিতে বসেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন আউট হয়নি।
তাঁর ঘাড় নাড়ানোই সবটা বলে দেয়। থার্ড আম্পায়ারও ওই বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছে। ইংলিশকে আউট করার পর জেরাল্ড কোয়েটজির বল স্টার্কের পায়ে লাগে। জোরাল আবেদন করেন কোয়েটজি। ডিআরএস নেবেন কিনা তা কুইন্টন ডি কককে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন বাইরে পড়েছে। তবুও কোয়েটজির আবেদনের কথা মাথায় রেখে ডিআরএস নিয়ে বসেন বাভুমা। আউট হননি স্টার্ক। স্টেডিয়ামে বসে থাকা সৌরভ হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন আধা মিটার বাইরে। হিন্দি কমেন্ট্রির সময় মহম্মদ কাইফ বলেন, 'প্রায় ১১০ মিটার দূর থেকেও ধরে নিয়েছেন সৌরভ। হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আধ মিটার লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বল পড়েছে।'
এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আগে ব্যাট করতে নেমে ২১২ রানের বেশি করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার শতরান করে দলের রান সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান। ২৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান হেনরি ক্লাসেন ও মিলার। ৪৮ বলে ৪৭ রান করে ট্রাফিস হেডের বলে বোল্ড হয়ে যান ক্লাসেন। ১১৬ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মিলার। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটা চার ও পাঁচটা ছক্কা।
তিনটি করে উইকেট নেন মিশেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। জস হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬০ রানের জুটি গড়ে তোলেন ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেই সময় মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ সহজেই জিতে যাবে। তবে এরপর ম্যাচ ঘোরান কোয়েটজি। দারুণভাবে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৭৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে ম্যাচ জেতান।