
লন্ডভন্ড যুবভারতী। মুখ পুড়েছে কলকাতার। মেসিকে দেখতে এসে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ জনতা। ভেঙে ফেলা হয়েছে বাকেট সিট, ভাঙা হয়েছে খেলোয়াড়দের মাঠে বেরিয়ে আসার টানেল। নষ্ট করা হয়েছে গোল পোস্টের জাল। শুধু তাই নয়, মাঠের বাইরে থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে গাছের টব। এই ধ্বংসলীলার পর কেমন অবস্থা যুবভারতীর?

দুই দিন কেটে গেলেও, ধ্বংসের সেই ছবি এখনও স্পষ্ট। উন্মত্ত জনতা হাজার হাজার টাকা খরচ করে মেসিকে দেখতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়। আর তার ক্ষোভ গিয়ে পড়ে স্টেডিয়ামের উপর।

একের পর এক জায়গায় চলে ভাঙচুর। কেউ কেউ বাড়ি নিয়ে চলে যান নিজেদের পছন্দের জিনিস। সেই তালিকায় কার্পেট থেকে শুরু করে ছিল নানা ধরণের ফুলের গাছ।

শুধু তাই নয়, সম্প্রচারকারী সংস্থার ক্যামেরার বিভিন্ন সরঞ্জামও প্রায় লুঠ করা হয়েছে। একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাঠের পাশে অ্যাথলেটিক টার্ফের উপর ট্রলি নিয়ে জয় রাইড করছেন সমর্থকরা।

রবিবার গোটা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি। রবিবার সকালেই অসীম মাঠে পৌঁছে যান। তিনি মাঠ ও গ্যালারির বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন। তারও ভিডিওগ্রাফি হয়েছে।

যুবভারতী পরিদর্শন করে সাংবাদিক বৈঠক করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি যা দেখেছেন, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে কী কী করা দরকার, রাজ্য সরকারকে তার পরামর্শ দেবেন।

বৈঠক শেষে যুবভারতী থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তদন্ত কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। এখন তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। তাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি সরকারের লোক নই। যা দেখেছি, তদন্তে যা পাব, রিপোর্টে তা বিশদে বলা থাকবে। আমরা তদন্ত করছি। বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের কাজ করতে দিন।’

তবে এত কিছুর মধ্যেও দেশের অন্য শহরগুলিতে নির্বিঘ্নেই মিটেছে লিওনেল মেসির গোট কনসার্ট। তা হলে এখানে এই অবস্থা কেন? সে উত্তর এখনও অধরা।