এবারের ডুরান্ড কাপে বিদেশি না খেলানোর আর্জি জানিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড বিদেশি খেলানো নিয়ে অন্যরকম নীতি নিয়েছে। প্রথমদিকে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ। সেই ম্যাচগুলিতে রিজার্ভ দলকেই খেলাবে তারা। তবে ডায়মন্ড হারবার এফসি ম্যাচকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মোহনবাগান। আর সেই কারণে তারা সেই ম্যাচে বিদেশি ফুটবলারদের খেলাতে পারে।
২৬ জুলাইয়ের মধ্যে সাহাল, আপুইয়াদের শহরে পৌঁছনোর কথা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্লাবের মাঠ সংস্কারের কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ঘরের মাঠেই প্রস্তুতি শুরুর ভাবনায় টিম ম্যানেজমেন্ট। উল্লেখ্য, আগামী ৩১ জুলাই ডুরান্ড কাপে অভিযান শুরু করছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মহমেডান স্পোর্টিং। পাশাপাশি পরের রাউন্ডে দল উঠলে সমস্ত বিদেশিকে নিয়েই কাপ জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে মোহনবাগান। গত মরসুমে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে হেরে ডুরান্ড কাপ হাতছাড়া হয়েছিল তাদের। তাই এবার আর সেই ভুল করতে নারাজ তারা। কবে বিদেশিরা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সে ব্যাপারে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি। তবে আগস্টের শুরুতেই যোগ দিচ্ছেন কোচ মলিনা।
৬ বিদেশিই খেলাবে ইস্টবেঙ্গল
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলও শুরু থেকেই ছয় বিদেশিকে রেজিস্টার করিয়ে রাখছে। রশিদ ছাড়াও ব্রাজিলের মিগুয়েল ফেরেরা ও আর্জেন্তাইন ডিফেন্ডার কেভিল সিবলে প্রথমবার লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে অস্কারের অধীনে ফুল ফুটিয়েছেন মিগুয়েল। মূলত স্প্যানিশ কোচের পরামর্শেই তাঁকে রিক্রুট করা হয়। মিগুয়েলের মন্তব্য, 'অস্কারের কোচিংয়ে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই।' সেক্ষেত্রে মিগুয়েল ছন্দে থাকলে অস্কারের চিন্তা কিছুটা কমবে। আর্জেন্তাইন স্টপার কেভিন আবার টাফ ফুটবলে দক্ষ। কিন্তু রক্ষণে আপাতত তিনিই একমাত্র বিদেশি। তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়েই দুর্গ সামলাতে হবে অস্কারকে। বিষয়টি মোটেও সহজ নয়।
স্প্যানিশ ফুটবলার সল ক্রেসপোও চলে এসেছেন শহরে। তাঁর অত্যধিক চোটপ্রবণতা চিন্তার কারণ। অনেকেই চেয়েছিলেন তাঁকে রিলিজ করে নতুন ফুটবলার আনতে। কিন্তু ক্রেসপোকে ছাড়তে গেলে বিশাল টাকা ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন। অতএব কোনওরকমে টিকে গিয়েছেন তিনি। মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ ভিসা সমস্যায় আটকে। তাঁরও দ্রুত কলকাতায় পৌঁছবার কথা।