স্ট্রাইকার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে ভারতীয় ফুটবল দলকে। সুনীল ছেত্রী অবসর ভেঙে ফিরে এলেও, গোল পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় ভারতীয় দলে ভা মানের স্ট্রাইকার দরকার। আইএসএল বা আই লিগের ক্লাবগুলো স্ট্রাইকার পজিশনে বিদেশি ফুটবলারদের খেলাচ্ছে ক্লাবগুলো। ফলে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি থমকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এবার মুখ খুললেন ফেডারেশন সচিব কল্যাণ চৌবে।
ভারতীয় দলের স্ট্রাইকার সমস্যা মেটাতে ভারতের ফুটবল ফেডারেশন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? শুক্রবার এআইএফএফ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। তিনি বলেন, 'ঘরোয়া লিগে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না; এটা স্টেকহোল্ডারদের সিদ্ধান্ত। তবে জাতীয় দলের স্বার্থে, যদি তারা ভারতীয় স্ট্রাইকারদের আরও সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমি খুশি হয়ে তা মেনে নেব।'
পাশাপাশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের ভারতীয় দলে খেলানোর ব্যাপারেও অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এমনটাই দাবি কল্যাণের। ভারত সরকারের সঙ্গেও কথাবার্তা চালাচ্ছেন তাঁরা। কল্যাণ বলেন, 'ওসিআই খেলোয়াড়দের সম্পর্কে সমর্থকেরা জিজ্ঞাসা করছেন। নীচের র্যাঙ্কিংয়ে থাকা অনেক দেশই ন্যাচারালাইজড ফুটবলারদের ব্যবহার করেছে। এআইএফএফ ওসিআই কার্ডের জন্য যোগ্য ৩৩ জন ফুটবলারের সাথে যোগাযোগ করছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যেই কার্ডটি পেয়েও গেছেন। এবং অন্যরাও যাতে দ্রুত পেতে পারে এআইএফএফ সাহায্য করছে। ফুটবলাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এআইএফএফ নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে।'
ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন রায়ান উইলিয়ামস। এরপর কল্যাণ চৌবে যা বললেন তাতে অনেকটাই আশ্বস্ত হতে পারেন ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশ, প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে খেলানোর পরেই এই দাবি আরও জোরাল হয়েছে। কল্যাণের দাবি, ইতিমধ্যেই সরকারি কাজকর্মও শুরু হয়ে গিয়েছে।
সুনীল ছেত্রীদের কোচ মানেলোর উপরেই আস্থা প্রকাশ করেছেন কল্যাণ। সাংবাদিক সম্মেলনে এআইএফএফ সভাপতি বলেন, 'মানোলো মার্কেজ একজন উচ্চমানের কোচ এবং ভারতীয় ফুটবল এবং খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তার ভালো ধারণা রয়েছে। তবে, গত কয়েকদিনে, কোচ থাকবেন কিনা তা নিয়ে আমি বেশ কয়েকটি ফোন পেয়েছি। ২৯ জুন আমাদের একটি নির্বাহী কমিটির সভা আছে, যেখানে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তবে, প্রথমে গোল না করে জয়ের আশা করা অবাস্তব।'