'এক প্লেটে তিনটে পরোটা, সাথে আনলিমিটেড তরকারি একটা কাঁচা লঙ্কা একটা পেঁয়াজ সাথে একটা ডিম দিয়ে মাত্র ৩০ টাকা।' সেই পরোটাই নাকি চেখে দেখবেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। কলকাতায় আসার পর, মেসি নাকি রাজুদার পরোটা খাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার রাতেই এই ব্যাপারে পোস্ট করেছেন শতদ্রু দত্ত। bangla.aajtak.in কথা বলল রাজু দার সঙ্গে।
মেসির সঙ্গে তাঁর দেখা হবে এটা ভেবেই উচ্ছ্বসিত রাজু। বলেন, 'লিওনেল মেসি গোটা বিশ্বের কাছে বিরাট একটা নাম। তিনি আমার পরোটা খেতে আসছেন সেটা বিরাট ব্যাপার।' তবে এখনও আয়োজকদের থেকে কোনও বার্তা পাননি রাজু। তিনি বলেন, 'এখনও কেউ আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেনি। তবে আমি শুনেছি। সে কারণে অনেক ধন্যবাদ শতদ্রু বাবুকে। আমার প্রণাম মেসিকে। সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পোস্টটা। উনি যদি আমায় এই সুযোগ দেন তবে আমি সম্মানিত হব।'
যে পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছিল, সেখানে রাজুকে ট্রোল করা হয়েছে বলে মনে করেছিলেন মেসিকে কলকাতায় আনার অন্যতম কারিগর শতদ্রু। তবে এ ব্যাপারে আলাদা করে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ রাজু। তিনি বলেন, 'আমি এ ব্যাপারে কিছু বুঝি না। তবে শতদ্রু দাদা যে পোস্ট করেছেন, তার সঙ্গে আমি একমত। তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ জন্য আমি ধন্য।'
শনিবার সকালে রাজুদার পকেট পরোটার দোকানে গিয়ে দেখা গেল, প্রচুর কন্টেন্ট ক্রিয়েটারের ভিড়। পরোটা শেষ হয়ে গেলেও, মেসি নিয়ে তাদের প্রশ্ন থামছে না। এর মধ্যেই, আমাদের প্রশ্ন ছিল, মেসি যদি খেতে চান, তা হলে তাঁর ব্রেকফাস্ট মেনুতে আর কী কী যোগ করা হবে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা রাজুর কাছে। তিনি বললেন, 'আমি জানি না হোটেলে কী কী নিয়ে যাওয়া যাবে। নিরাপত্তার নানা ব্যাপার আছে। তাই আমার সঙ্গে আয়জকদের কথা না হলে, এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না।
তবে রাজু কিন্তু মেসির পাগল ফ্যান। ২০২২-এর বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন তারকার ম্যাচ দেখেছেন। মেসির জন্য গলা ফাটিয়েছেন বলে দাবি রাজুর। তিনি বলেন, 'কাজের চাপের কারণে, সব ম্যাচ দেখেছি বলতে পারব না। তবে দেখেছি।' পরের বছরেই ফের বিশ্বকাপ। মেসি সেখানে খেলবেন কিনা সেটা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে রাজু কিন্তু আশাবাদী। তিনি বলেন, 'আশা করি খেলবে। তবে বয়স হচ্ছে। ফিটনেস একটা ব্যাপার। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা বোর্ড (পড়ুন আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন) নেবে।'