Mohunbagan Vs Jamshedpur Fc: গ্রেগ স্টুয়ার্ট নেই তো কী হয়েছে? মোহনবাগান সুপার জায়েন্টে গোল করার লোকের অভাব নেই। তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন হোসে মোলিনার ছেলেরা। ডাগ আউটে খালিদ জমিলের না থাকাই কি পার্থক্য গড়ে দিল? সে উত্তর তোলা থাক। আপাতত জামশেদপুরকে গোলে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান।
প্রথমর্ধেই দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন। প্রথম গোল আসে ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেডের ভলি থেকে। দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্নার কোনওমতে ডিফেন্ড করেন জামশেদপুর ডিফেন্ডাররা। তবে বল গিয়ে পড়ে দীপক টাংড়ির পায়ে। তাঁর শট পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বুটের জঙ্গলে আটকে যেতে বল পান অ্যালড্রেড। তাঁর জোরালো ভলি গোলে ঢুকে যায়। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৭ মিনিট। প্রথমর্ধের একেবারে শেষলগ্নে দূরন্ত গোল লিস্টনের। পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট করার আগে নয় নয় করে ছয় ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলে শট করে যান এই উইঙ্গার।
চাপে পড়ে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমাতে উঠে পড়ে লাগে খালিদ জমিলের ছেলেরা। আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন হাবি হার্নান্ডেজ, রেইতা চিকাওয়ারা। তবে মোহনবাগান ডিফেন্স ভাঙার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। টানা ১৩ মিনিট নিরন্তর আক্রমণ শনিয়েও পরিষ্কার কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি জামশেদপুর। এর মধ্যেই কর্নার পেয়ে গিয়েছিল তাঁরা। সেই সেটপিস থেকেও বিপদ হতে দেননি জেমি ম্যাকলরেন। দলের প্রয়োজনে ডিফেন্স নেমে এসে ক্লিনশিট রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টাই এই মোহনবাগান দলের হলমার্ক।
প্রথমদিকে মোহনবাগানকে কিছুটা নরবড়ে লাগলেও সময় যত গড়াচ্ছে ততই নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে গতবারের লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে রণকৌশলে বদল আনেন মলিনা। আক্রমণে যাওয়ার বদলে কাউন্টার অ্যাটাকে জোর দেয় সবুজ-মেরুন। আর তাতেই আসে তৃতীয় গোল। ৭৪ মিনিটে মনবীর সিং ও ম্যাকলরনের যুগলবন্দী সবুজ-মেরুনকে শীর্ষে নিয়ে যায়। ডানদিক থেকে দারুণ দক্ষতায় উঠে এসে গোলকিপারকে কাটিয়ে ফেলেন তারকা উইঙ্গার। ছন্নছাড়া ডিফেন্সের সুযোগে জামশেদপুরের লজ্জা আরও বাড়ান অজি স্ট্রাইকার।
এই জয়ের ফলে শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান। বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান যেমন ঘুচে গেল তেমনই গোল পার্থক্য অনুসারেও সুনীল ছেত্রীদের টপকালেন পেত্রাতোসরা।