৫৩ বছর পর ফের ইউরো জয়। উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোতা ইতালি। টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জিতে নিয়েছে খেতাব। প্রথমবার ইউরো জয় থেকে সামান্য আগে থমকে যেতে হয়েছে ব্রিটিশদের।
স্বাভাবিকভাবেই রাতভর উল্লাস, হুল্লোড় চলেছে ইতালিতে। রোম থেকে মিলান কিংবা ভেনিস সর্বত্র ছিল একই চিত্র। অযথা চিৎকার, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উল্লাস প্রকাশ হয়েছে অনেক জায়গাতেই।
করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিধি নিষেধ থাকলেও অনেক জায়গাতেই বিধি অটুট থাকেনি। এমন দিন জীবনে কবার আসে। তাই আগল টুটলে টুটুক। বাঁধ ভাঙলে ভাঙুক।
কে কাকে বাধা দেয়। লন্ডনের প্রধান রাস্তাগুলি, বিশেষ করে স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তায় হুল্লোড় করেছে ইতালিয়রা। শুধু কি সমর্থকরা! উৎসবে ভেসেছেন ইতালির খেলোয়াড়রা।
ম্যাচের শেষ পেনাল্টিটা গোলরক্ষক আটকে দিতেই, ডাগ আউট থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছেন অতিরিক্ত খেলোয়াড়রা, কোচ মানচিনি, মাঠে একে অপরের ঘাড় চেপে তখন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছে নীল জার্সির মালিকরা।
রবিবারের দিনটাই যেন নীল জার্সির ক্ষেত্রে গ্রহ-নক্ষত্র-রাহু-কেতু সমস্ত নক্ষত্র একসঙ্গে সুফল দিয়েছে। সকালে কোপা জিতেছে আরও এক নীল জার্সির মালিক আর্জেন্টিনা। রাতে ইউরো জিতে নিয়েছে ইতালি।
এদিন লন্ডনের রাস্তার পাশাপাশি রাতভর আতসবাজি পুড়েছে ইতালির অলিগলিতে। ইতালির লেওনার্দো বোনুচ্চিকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়েছে।
৩৪ বছরের ওই ফুটবলারকেই ইউরো ফাইনালের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করা হয়েছে। বরিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইউরো কাপের ফাইনালে গোল করার নজির গড়লেন বোনুচ্চি।
ইউরো কাপের ফাইনালের টাইব্রেকারে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া ইতালির গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি দন্নারুম্মা পেয়েছেন সোনার বল। তাঁকে টু্র্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।