scorecardresearch
 
Advertisement
খেলা

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সম্পর্কে এই পাঁচটি তথ্য আপনি জানেন না, জানলে গর্বিত হতেন!

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
  • 1/6

এই প্রথমবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগ যাত্রা শুরু করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু, শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবের ঐতিহ্য কিছু কম নয়। দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এই কলকাতার এই ক্লাবটি সম্মান অর্জন করেছে। 

ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সফল ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যে ৩৯ বার কলকাতা ফুটবল লিগ জয় করেছে। ১০ বার রোভার্স কাপ, ১৬ বার ডুরান্ড কাপ, ২৯ বার আইএফএ শিল্ড, আটবার ফেড কাপ, তিনবার জাতীয় ফুটবল লিগ এবং তিনটি আন্তর্জাতিক খেতাব (ভারতীয় ফুটবল ক্লাবের মধ্যে সবথেকে বেশি) -- ওয়াই ওয়াই কাপ, আশিয়ান কাপ এবং স্যান মিগুয়েল আন্তর্জাতিক কাপ জয় করেছে।

তবে এই তথ্যগুলো তো সবাই জানে, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে এমন কয়েকটা তথ্য শেয়ার করব, যা আপনি আগে হয়ত কখনও শোনেননি। আসুন, আলোচনা করা যাক।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
  • 2/6

১. চৌরঙ্গীতে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিটি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব স্থাপন করেছিল


স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত। সমাজের একজন উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি ব্যারিস্টার এবং অঙ্কবিদ ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে তাঁকে মনোনীত করা হয়েছিল। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় স্যার আশুতোষ যে অগ্রনী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন, সেকথা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯২৪ সালের ২৫ মে তিনি ৬০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ডালহৌসি গ্রাউন্ডে ইস্টবেঙ্গল একটি ম্যাচের আয়োজন করেছিল। সেই ম্যাচে ভারতীয় এবং ইউরোপীয় ফুটবলাররা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই ম্যাচ থেকে যে অর্থ সংগৃহীত হয়েছিল তা দিয়ে ভিক্টোরিয়া হাউসের বিপরীত দিকে চৌরঙ্গী এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে তাঁর একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
  • 3/6

২. একটা সময় একই মাঠে খেলত মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল


শহরের ফুটবল ময়দানে কলকাতা ডার্বি যথেষ্ট প্রচলিত একটা শব্দ। ফুটবল মাঠে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দ্বৈরথ আজ বোধহয় গোটা বিশ্বেই অন্যতম চর্চিত বিষয়। কিন্তু, আপানারা কি জানেন, এমন একটা সময় ছিল, যখন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল একই মাঠ শেয়ার করে খেলত। বিশ্বাস করতে অসুবিধে হলেও এটাই কিন্তু সত্যি! 

১৯২০ সালে ইস্টবেঙ্গল প্রথমবার শ্যাম স্কোয়ার পার্কে হারকিউলিস কাপ জেতে। এটাই ছিল দলের প্রথম খেতাব। তো এরপর ক্লাবের দুই প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী এবং তড়িৎ ভূষণ রায় দলের অনুশীলনের জন্য একটা মাঠের খোঁজ চালাচ্ছিলেন। সেইসময় আইএফএ-র নিয়মই ছিল যে দুটো দলকে একটি মাঠেই অনুশীলন করতে হবে। কিন্তু কোন দল কোন মাঠে খেলবে, সেটা ঠিক করত কলকাতা পুলিশ।

তো উপযুক্ত একটা মাঠের খোঁজ চালাতে গিয়েই তড়িৎ ভূষণ রায় খবর পেয়েছিলেন CFC-র দক্ষিণ দিকে একটা মাঠে অনুশীলন করছে মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব। তারা বেহালার ন্যাশনাল এসি (প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান দলের অন্যতম সদস্য সুধীর চৌধুরি) নামে একটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে মাঠটি শেয়ার করছে। যদিও ততদিনে ওই ক্লাবের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। ব্যাপারটি তড়িৎবাবু তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানান। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন ওই মাঠটি যেন ইস্টবেঙ্গলকে শেয়ার করতে দেওয়া হয়। কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট এই দাবি মেনে নিয়েছিলেন এবং ১৯২২ সাল থেকে মাঠটি মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলকে একসঙ্গে শেয়ার করতে দেওয়া হয়।

Advertisement
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
  • 4/6

৩. ১৯৫৩ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এসেছিলেন এমিল জ়াতোপেক


চেকোশ্লোভাকিয়ার কিংবদন্তি দৌড়বিদ এমিল জ়াতোপেক এবং তাঁরা স্ত্রী ড্যানা ১৯৫৩ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। সেইসময় ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল।

সেইসময় বিশ্ব ক্রীড়াজগতে জ়াতোপেক ছিলেন একজন স্বনামধন্য প্রতিভা। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কিতে আয়োজিত অলিম্পিক্সে তিনি ৫,০০০ এবং ১০,০০০ মিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় তিনটে সোনার পদক জয় করেছিলেন। পাশাপাশি ১৯৪৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকেও তিনি সোনা এবং রুপোর পদক জয় করেছিলেন।

এটা ক্লাবের কাছে অত্যন্ত সম্মানের কেরিয়ারে সাফল্যের শীর্ষে থাকার সময়েই জ়াতোপেক ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আমন্ত্রণে ভারতে এসেছিলেন।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
  • 5/6

৪. একমাত্র ক্লাব যারা অপরাজিতভাবে এএফসি কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল


কোনও ভারতীয় দল হিসেবে এএফসি কাপে খেলার রেকর্ড (৫৫) সবথেকে বেশি লাল-হলুদ ব্রিগেডের কাছেই রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলই ভারতের একমাত্র ফুটবল ক্লাব যারা এই প্রতিযোগিতায় আটবার অংশগ্রহণ করেছে।

তবে এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সবথেকে বড় সাফল্য ২০১৩ সালে আসে। প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে তারা অপরাজিতভাবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছয়। তখন দলের কোচ ছিলেন ট্রেভর জেমস মরগ্যান। পরে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন মার্কোস ফালোপা। তবে সেমিফাইনালে কুয়েত এসসি'র কাছে পরাস্ত হয় কলকাতার এই ফুটবল দলটি।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
  • 6/6

৫. প্রথম আবির্ভাবেই ফেড কাপ জয় করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড

ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গলই প্রথম দল যারা প্রথম আবির্ভাবেই ফেডারেশন কাপ জয় করেছিল। ১৯৭৮ সালে কোয়েম্বাত্তোরে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল যুগ্মভাবে বিজয়ী হয়েছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর একবছর পরেই এই ঘটনাটা ঘটে। 

ফাইনাল ম্যাচটি পরপর দু'দিন (১২ মে এবং ১৩ মে) খেলা হয়েছিল। কিন্তু, দু'দিনই এই দুটো দল একটাও গোল করতে পারেনি।

Advertisement