অবশেষে শাপমুক্তি বিশ্বের অন্যতম ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির। ২০১৪ থেকে ২টো কোপা ফাইনাল আর বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে হতাশা ভোগা এলএম১০য়ের এবার শাপমুক্তি। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল গোট তকমা। দেশের হয়ে তিনি নাকি একটিও খেতাব জেতেননি। এবার অবশেষে সেদিন চলে এলো বিশ্ব ফুটবলে।
সব ছবির সৌজন্য- কোপা আমেরিকা টুইটার।
কিন্তু এই ম্যাচে মেসিরা জিতেছে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে। মেসিরা বলেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র প্রাক্তন ফুটবলার ডিয়েগো মারাদোনার জন্য কোপা আমেরিকা কাপ জিতে উৎসর্গ করতে চান। আর সেটাই করলেন মেসিরা।
তবে এই ম্যাচ জিতলেও গোল পাননি লিও মেসি। একটি দুরন্ত সুযোগ পেয়েও মেসির সেই গোল পা থেকে মিস করেন। ব্রাজিলের এডারসনকে পরাস্ত করেই মেসি এই গোলটি করতে পারতেন সহজেই। সঙ্গে ম্যাচের ৮৯ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যেতেন এলএম ১০। আর সেই গোল করে ২-০ গোলে জিততে পারত আর্জেন্টিনা। তবে সেই গোল মিস করেন তিনি। দেশের হয়ে ফাইনালে গোল হলো না মেসির।
ঐতিহাসিক কোপা আমেরিকা ২০২১ ফাইনাল। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কোপা ফাইনাল। কোপায় জয় মেসিদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ডি মারিয়ারা।
অবশেষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বপ্নপূরণ হলো লিও মেসির। গোট তকমার অবসান ঘটলো লিওর। ২০১৪ সাল থেকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে দেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতার স্বাদ নিতে চেয়েছিলেন এলএম ১০। দুবার কোপার ফাইনালে উঠেও সেটা হয়নি। অবশেষে এবার জয় পেল মেসির দল।
ফাইনালে ম্যাচের প্রথম থেকেই খেলার উত্তেজনা ছিল অন্য ধরনের। কারণ এটি বড় ম্যাচের স্বাদ। প্রথমে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলই মাঝ মাঠে দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিব। একে - অপরকে বুঝে নিতে চেষ্টা করছিল দুই দল। তবে কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছিল অন দ্য ট্র্যাক এগিয়ে রয়েছে মেসিরাই। তবে গোলের মুখ খেলার জন্য নীল-সাদা ব্রিগেডকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ২২ মিনিটেই লম্বা বাড়ানো বল থেকেই গোল করে যান আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
১০৭ বছরের এই পুরানো লড়াই সবাই জানতো ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা মানেই একটা অন্য ধরনের স্বাদ। বিশ্ব দরবারে এটাও একটা ডার্বি। আর সেই ডার্বিতেই এবার জয় পেয়ে গেল লিও মেসির দল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ডি মারিয়ারা।
এই ট্রফি আর্জেন্টিনা ও মেসির জন্য অন্যতম একটি পাওনা। কারণ এটা অবশেষে শাপমুক্তি হিসাবেই ধরা যেতে পারে মেসির জন্য। কারণ দেশের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ যে পেয়ে গেলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বল পায়ে তিনি যতই এর আগে অন্য ক্লাবের হয়ে জয় পেয়ে থাকুন না কেন। ফুটবলের রাজপুত্রের দেশের হয়ে একটিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ট্রফি ছিল না মেসির।
প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে যখন এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা, তখন মরিয়া চেষ্টা করে খেলায় সমতা ফেরানোর চেষ্টা করছিল নেইমাররা। তবে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। অবশেষে সাম্বা ব্রিগেডকে হারিয়ে হাসি মুখে-উচ্ছ্বাসে মাঠ ছাড়লেন ডি মারিয়া, মেসিরা। তারপরই মাতলেন সেলিব্রেশনে।