scorecardresearch
 

দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানবিক ইস্টবেঙ্গল, লকডাউনে মানুষের পাশে শতবর্ষের ক্লাব

ক্লাব তাঁবুতে এবার দুঃস্থদের খাওয়ার তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আগামী এক মাস রোজ ৫০০জনকে খাওয়ারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হবে লাল-হলুদ শিবিরের পক্ষ থেকে।

Advertisement
দুঃস্থদের খাওয়ারের প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে লাল-হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে। দুঃস্থদের খাওয়ারের প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে লাল-হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে।
হাইলাইটস
  • ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে মহান উদ্যোগ
  • দুঃস্থদের পাশে লাল-হলুদ শিবির
  • লকডাউনে খাওয়ার বিতরণ ক্লাবের

অতিমারির দাপটে খেলা থেমে থাকতে পারে। মাঠে নাই নামতে পারে শতবর্ষের ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। তবে এর বাইরেও মানবিক ইস্টবঙ্গেল ক্লাব। শতবর্ষে পা দেওয়া ক্লাবের একটাই লক্ষ্য ছিলো অতিমারিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আর সেই মতো এবছরও ফের একবার মানবিক রুরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। গত বছর করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ সামাল দিতে মাঠে নেমেছিল লাল-হলুদ শিবির। এবারও ফ্রন্টলাইনে তাঁরা।

গতবারে মতো করোনা কালে কোভিড যোদ্ধা হিসাবে দেখা যাবে ময়দানের প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গলকে। শুধু মাঠে প্রতিপক্ষদের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে নামলো ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ ব্রিগেডের পক্ষ থেকে খবর, রোজ এবার থেকে ৫০০ জন মানুষের মুখে খাওয়ার তুলে দেওয়া হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে মহান উদ্যোগ।

বিশেষ করে ময়দানের টেন্টগুলিতে থাকেন মালিরা। একই সঙ্গে থাকেন বিভিন্ন মাঠ কর্মী, ময়দান টেন্টের ক্যান্টিন কর্মীরা। খেলা হলে ও মাঠ চললে তাঁদের কিছুটা রোজগাড়ের পথ খোলা থাকে। দিনে এনে দিন চালান তাঁরা। তবে লকডাউনে এমনটা বড়ই অসম্ভব হয়ে উঠেছে। প্রায় ৩০টিরও বেশি তাঁবু আছে ময়দানে। একই সঙ্গে আছে ময়দানের বিভিন্ন ক্যান্টিনও। ফলে এবার তাঁদের পাশেই দাঁড়াতে ইস্টবেঙ্গলের এই মহান উদ্যোগ।

 

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে খাওয়ার বিতরণ। শুক্রবার।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে খাওয়ার বিতরণ। শুক্রবার।

প্রায় ৫০০ জন দুঃস্থ মানুষদের খাওয়ার নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্লাবের তরফে। শতবর্ষে পা দেওয়ার পর ও অতিমারি সৃষ্টি হওয়ার পর ক্লাবের ট্যাগ লাইন ছিলো সর্বদা আপনাদের পাশে...আপনাদের সঙ্গে। আর সেই ট্যাগ লাইন অনুযায়ী এগোচ্ছে ময়দানের অন্যতম প্রধান ক্লাব।

ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তাদের হাত রয়েছে উদ্যোগে, এমনটাই জানা গিয়েছে ক্লাব সূত্রে। দেবব্রত কসরকার, গৌতম দাসরা সাহায্য করেছেন এই উদ্যোগে। শুক্রবার প্রায় ১০০ মানুষের হাতে খাওয়ারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে প্রায় ৫০০ জনের খাওয়ার বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব। ফুটবলের সঙ্গে করোনার জেরে এবার ইস্টবেঙ্গলে শুরু হয়ে গেল কমিউনিটি কিচেনও। শুক্রবার ক্লাবে এই মহান কাজে হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার চন্দন দাসও।
 

Advertisement

Advertisement