হাইলাইটস
- দ্রুত চুক্তি সমস্যার সমাধান হবে
- ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি জট কাটছে
চুক্তি সম্পাদনের পক্ষে আর কোনও জটিলতা নেই বলে জানিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, ইমামি গ্রুপ পরিমার্জিত যে চুক্তিপত্র ক্লাবে পাঠিয়েছিল তার মধ্যে দু'টো শর্ত নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দু'পক্ষের আলোচনা হয়েছে এবং যে দুটো শর্ত নিয়ে ক্লাবের আপত্তি ছিল তা মিটে গিয়েছে। এবার চুড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরি হলে তাতে ইস্টবেঙ্গল স্বাক্ষর করে দেবে। সেক্ষেত্রে আগামী দু'দিনের মধ্যে চুড়ান্ত চুক্তি সম্পাদিত হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
এই সপ্তাহের সোমবার লগ্নিকারীর পাঠান চুক্তিপত্র ক্লাবে পৌছলেও তা খতিয়ে দেখে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ফিরিয়ে দেননি বলে অভিযোগ তুলেছিল ইমামি। ফলে ধরেই নেওয়া হয়েছিল চুক্তিজট কেটেছে বলে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা একেবারেই সত্যি নয়। বরং বিষয়টি আরও জটিলতার দিকে এগিয়ে চলেছে। জানা গিয়েছিল সোমবার রাতে চুক্তিপত্র লগ্নিকারীর দফতর থেকে ক্লাবে পৌছে যায়। তারপর দ্রুত তা খতিয়ে দেখার পর চুড়ান্ত রূপায়নের জন্য লগ্নিকারীর দফতরে পৌছবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার বিকেল পর্যন্ত তা ইমামির দফতরে পৌছয়নি। যেটুকু চুক্তিতে রাখা হয়েছে তা মেনে না নেওয়ার কোনও কারন নেই বলে লগ্নিকারীরা মনে করছে।
আরও পড়ুন: মোহনবাগান রত্ন শ্যাম থাপা, পুরস্কার কিয়ান-লিস্টনকেও
ফলে চুক্তির চুড়ান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন ক্লাবের কোর্টে। অন্তত লগ্নিকারী পক্ষ সেকথাই বলা হচ্ছিল। ইমামি কর্তা আজতক বাংলাকে বলেন, ''দেখুন সোমবার আমরা চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর তা ক্লাব দেখে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে এ রকম কোনও খবর নেই। কবে পাঠাবে সেটা ক্লাবই বলতে পারবে।” ইমামি গ্রুপের কর্ণধার আদিত্য আগরওয়ালের এই বক্তব্য ক্লাবের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। এই উষ্মা সামনে আসতেই অপছন্দের শর্ত দু'টি নিয়ে মতানৈক্য না বাড়িয়ে মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: মোহনবাগান দিবসে ক্লাবে হাজির থাকবেন পোগবারা, অনুশীলন শুরু কবে?
এরপর ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, ''আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি চুড়ান্ত হয়ে যাবে। অথচ দু'পক্ষের মুখোমুখি বৈঠকের পরে ইতিবাচক দিকেই সবকিছু দ্রুত এগোবে বলে মনে করা হয়েছিল।'' তা সত্ত্বেও কেন জটিলতা? এই প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত সরকার বলেছেন, ''চুক্তির কোন জায়গায় আপত্তি তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে সমস্যা মিটে গিয়েছে এইটুকু বলা যেতে পারে।'' যদিও ইমামি গ্রুপের তরফে লাল-হলুদ শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। চুক্তির শতাংশের হিসেব কোন পক্ষে কতটা থাকবে তা নিয়ে মন্তব্য করেননি লাল হলুদ কর্তা। তবে কোম্পানি গঠন হলে ক্লাবের প্রতিনিধির সংখ্যা কত হবে তা নিয়ে দেবব্রত সরকার বলছেন সেখানে ক্লাবের প্রতিনিধি দু'জন থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।