এই বছরেই অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে ভারত। সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফ-কে দ্রুত নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে ভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে সংবিধান চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। দ্রুত নির্বাচন করতে না পারলে ভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে ব্যান করে দিতে পারে ফিফা। ফলে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে না অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপ। যাতে এই পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেই জন্য সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ৩৬টি রাজ্য সংস্থা ও ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলাদের নিয়ে জেনারেল বডি গঠন করার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৩৬ জন ফুটবলার থাকবেন এই কমিটিতে। অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে মহিলাদের বিশ্বকাপ।
সিওএ ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সংবিধানের খসড়া তৈরি করলেও তাতে চূড়ান্ত শিলমোহর পড়েনি। সুপ্রিম কোর্ট ফেডারেশন, বিভিন্ন ক্লাব ও প্রাক্তন ফুটবলারদের মতামত নিয়ে এই সংবিধানে শিলমোহর দেবে। সিওএ অনেকদিন আগেই দ্রুত নির্বাচন করার ব্যাপারে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টকে। সেই মতোই ২৯ আগস্টের মধ্যে এআইএফএফ-এর নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ২৮ আগস্ট হতে পারে নির্বাচন। সেক্ষেত্রে এর পরের দিন অর্থাৎ ২৯ আগস্ট ফল ঘোষণা হবে।
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ স্কোয়াশে সৌরভ ঘোষালের ব্রোঞ্জ, শুভেচ্ছা মোদীর
ফেডারেশনের জেনারেল বডিতে থাকবেন ৩৬ জন ফুটবলার যার মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ১২ জন মহিলা। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে। নির্বাচনের নোটিশ পাওয়ার দিন থেকে দুই বছর আগে ফুটবল থেকে অবসর নিতে হবে। পাশাপাশি দেশের হয়ে অন্তত একটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন এমন কাউকেই পরিচালন সমিতিতে আসতে পারবেন। এই ফুটবলারদের ভোট দানের অধিকারও থাকছে।
প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে কারা মনোনীত হবেন তা ঠিক করবে ন্যাশানাল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। খুব বেশি সময় হাতে নেই। তাই সমস্ত কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে হবে। তাই সিওএ-এর সদস্যরা রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে তালিকা তৈরি করে ১০ দিনের মধ্যে তা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবেন।
আরও পড়ুন: আরও একটা সোনা আসছিল ভারতের, শেষ মুহূর্তে কেন ব্রোঞ্জ লভপ্রীতের?
খসড়া সংবিধানে ফেডারেশনে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকছে। থাকছে মেয়াদও। টানা দুই বার ৬ বছর করে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন কোনও ব্যক্তি। এরপরে কুলিং অফে যেতে হবে তাদের। ৭০ বছর পেরিয়ে গেলে আর নির্বাচনে লড়া যাবে না।
৩ মাসের জন্য এআইএফএফ-এর অন্তর্বর্তীকালীন একটি কমিটি তৈরি করা হবে। নতুন সংবিধানে শিলমোহর পড়লে তাদের হাতেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে।