এখনও অবধি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে জার্মানি (Germany)। ১৯৫৪, ১৯৭৮, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে বিশ্বসেরা হয়েছে তারা। ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডসকে (Netherlands) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল জার্মান দল। ম্যাচ হেরে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছিল নেদারল্যান্ডস। তাদের অভিযোগ ছিল, নেদারল্যান্ডস ফুটবলাররা যে হোটেলে ছিলেন সেই হোটেলে মহিলাদের পাঠিয়েছিল জার্মানির এক সংবাদপত্র।
কী ঘটেছিল?
ডাচ খেলোয়াড়দের যৌনতার ফাঁদে ফেলতে এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জুয়ান ক্রুয়েফদের (Johan Cruyff) যৌনতার টোপ দিয়ে মনঃসংযোগ নষ্ট করতে চেয়েছিল জার্মান সংবাদপত্র। ১৯৭৮ সালেই প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ফাইনালের প্রস্তুতির আগেই এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। নগ্ন যুবতিদের সঙ্গে ডাচ ফুটবলারদের পুল পার্টির কথা জানায় সেই সংবাদপত্র 'বিল্ড'। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন দলেরই এক ফুটবলার। সেই প্রতিবেদনে এমন দাবিও করা হয়, যে স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিলেন ডাচ ফুটবলাররা। সংবাদপত্র এও দাবি করে, তাদের কাছে প্রচুর পুল পার্টির ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় লেগে হাড্ডাহাড্ডি মোহনবাগান VS হায়দরাবাদ, কখন-কোথায় LIVE?
মহিলাদের হোটেলে ঢোকার কথা অস্বীকার করে নেদারল্যান্ডস দল
ফাইনালের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে নেদারল্যান্দস কোচকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে, রিনাস মাইকেলস বলেন, 'গোটাটাই গুজব। এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেইনি। আসলে ফাইনালের আগে ষড়যন্ত্র করেছে জার্মানি। মহিলারা যদি হোটেলে এসেও থাকেন, তবে তা ওই সংবাদপত্রই পাঠিয়েছে।' অর্থাৎ মহিলারা যে হোটেলে এসেছিল তা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি ডাচ কোচ।
এই গুজব অস্বীকার করেন নেদারল্যান্ডাসের ফুটবলাররাও। ফাইনালের আগে জুয়ান ক্রুয়েফের দল দারুণ ফুটবল খেললেও কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যায় ডাচ ফুটবলারদের। নেদারল্যান্ডসের সমর্থকদের দাবি ছিল, ওই সংবাদপত্রের তরফ থেকেই যৌনতার জাল পাতা হয়েছিল। সেই জন্যই সমস্ত প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। জার্মানির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়ক বেকেনবাওয়ার এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগান, চিন্তা দুই ফুটবলারের চোট
২-১ গোলে জেতে জার্মানি
এখনও বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই ম্যাচ অন্যতম বিতর্কিত বিষয় বলে পরিচিত। নেদারল্যান্ডসের সেই ম্যাচ হারের দুঃখ এখনও ভুলতে পারেননি সমর্থকরা। যদিও ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ২ মিনিটেই ডাচদের গোল করে এগিয়ে দেন জোহান নিসকেনস। তবে সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই এগিয়ে যায় জার্মানি। পল ব্রাইটনারের গোলে সমতা ফেরায় তারা। ২৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই গার্ড মুলারের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ৪৩ মিনিটে গোল করেন গার্ড মুলার। এরপর আর সমতা ফেরাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ২-১ গোলেই ফাইনাল জিতে নেয় জার্মানি।