ভারত-বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। বুধবারও অ্যাডিলেড ওভালে দেখা গেল সেই দৃশ্য। উত্তেজনা শুধু নয়, পাশাপাশি ছিল বিতর্কও। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) 'ফেক ফিল্ডিং' নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। তাদের দাবি, ফেক ফিল্ডিং-এর দায়ে পাঁচ রান পেনাল্টি হওয়া উচিত ছিল ভারতের। কাকতালীয় ভাবে সেই পাঁচ রানেই ভারতের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ দলের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফেক ফিল্ডিং-এর (Fake Fielding) বিষয়টা আম্পায়ারদের জানা থাকলেও তাঁরা নাকি আমল দেননি। ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুন শুরু করে বাংলাদেশ। সাত ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান করার পরেও বৃষ্টি বাধ সাধে। খেলা শুরু হওয়ার পর ডাকুয়ার্থ লুইস নিয়মে নতুন টার্গেট পায় টাইগার্সরা।
আরও পড়ুন: ডু অর ডাই ম্যাচে পাকিস্তান হারলেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিতে
তবে এই বিতর্কের ঘটনা ঘটে বৃষ্টি আসার কিছুক্ষণ আগেই। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিরাট-এর বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিং এর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ জানান নাজমুল হাসান শান্ত ও লিটন দাস। প্রথমে শান্ত, আম্পায়ার ক্রিস্টাউন ও মারাই এরাসমাসকে ঘটনাটা জানান তবে শান্তর কথায় গুরুত্ব দেননি আম্পায়াররা।
আরও পড়ুন: শামিকে বাদ দিয়ে কেন শেষ ওভার বল করালেন অর্শদীপকে? রোহিতের জবাব...
এই ফেক ফিল্ডিংকে হারের কারণ হিসেবে চিহ্নিত না করলেও, বাংলাদেশ দলে যে ক্ষোভ রয়েছে তা বোঝাই যায়। পাঁচ বছর আগে ফেক ফিল্ডিং নিয়ে নিয়ম চালু হয়। সেখানে বলা হয়, ব্যাটসম্যান শর্ট খেলার পরে ফিল্ডার যদি ফিল্ডিং করতে গিয়ে বল না ধরেই থ্রো করার অভিনয় করেন তবে ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত হয়ে রান আউট হয়ে যেতে পারে। সেই কারণে এটি অন্যায় বলে মেনে নেয় আইসিসি। তার শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং টিমকে পাঁচ রান দেওয়ার কথাও বলা হয়।
বুধবার সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে বল ফিল্ডিং করেন আর্শদীপ সিং। সেই থ্রো উইকেটের দিকে আসার আগেই বল ছোড়ার ভঙ্গিতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। আর তাই নিয়ে অভিযোগ বাংলাদেশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের।