তৃতীয় দিনেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যাশামতোই রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠল বাংলা। শেষ দিনে বাংলার দাপুটে বোলিংয়ের সামনে মুড়িয়ে গেল মধ্যপ্রদেশ। ৩০৬ রানে জিতলেন মনোজ তিওয়ারিরা। অন্য সেমিফাইনালে সৌরাষ্ট্র জেতার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে ইডেনে রঞ্জির ফাইনাল খেলতে পারেন মনোজ তিওয়ারিরা। ১৯৮৯-৯০ মরসুমের পর আর রঞ্জি জেতেনি বাংলা। এবার সেই খরা কাটানোর বড় সুযোগ ঘরের মাঠে।
প্রথম ইনিংসে মধ্যপ্রদেশকে ভেঙেছিলেন মুকেশ কুমার। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে কামাল করলেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন এই বাঁ হাতি স্পিনার। সরাসরি জয় পাওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশের দরকার ছিল ৫৪৮ রান। ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন রজত পাতিদার ও ভেঙ্কটেশ আইয়াররা। তবে লাভ হয়নি!চা পানের বিরতির আগে গুটিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালের পর রঞ্জি সেমিফাইনালেও ম্যাচের সেরা আকাশ দীপ। দু’টি ম্যাচেই ৬ উইকেট নিয়েছেন। চলতি মরসুমে এনিয়ে তিনবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন আকাশ।
এনিয়ে টানা তিন বার রঞ্জির সেমিফাইনাল খেলল বাংলা। ২০১৯-২০ মরসুমে ফাইনালে উঠেছিল তারা। সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে যায় বাংলা। এ বারও প্রতিপক্ষ হতে পারে সেই সৌরাষ্ট্রই। কারণ বেঙ্গালুরুতে অন্য সেমিফাইনালে কর্নাটকের বিরুদ্ধে এগিয়ে সৌরাষ্ট্র। সৌরাষ্ট্র জিতলে ইডেনে হবে ফাইনাল। যা মনোজ তিওয়ারিদের ঘরের মাঠ।
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান করেন বাংলার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ। তাঁর আউট প্রশ্নবিদ্ধ। বোলিংয়ে আকাশের দাপটে প্রথম ইনিংসে মধ্যপ্রদেশ শেষ হয় ১৭০ রানে। ২৬৮ রানে লিড নেয় বাংলা। ফলো অন করায়নি বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৫৪৮ রানের বিরাট লক্ষ্য দেন মনোজরা। যা পার করা সহজ হয়নি মধ্যপ্রদেশের।
এ বারের মরসুমে ধারাবাহিকভাবে ভাল পরাফর্ম করেছে বাংলা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে রঞ্জির ফাইনাল। কয়েক দশক বাদে জয়ের সুযোগ বাংলার সামনে। ফলে এখন থেকে সতর্ক বাংলা শিবির। ইতিমধ্যেই মনোজ তিওয়ারি ঘোষমা করেছেন, এটাই তাঁর শেষ রঞ্জি। জিতেই কেরিয়ার শেষ করার সুযোগ বাংলার অধিনায়কের সামনে।
আরও পড়ুন- ফাইনালের কাছে পৌঁছেও আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ মনোজরা, চিঠি দিলেন বোর্ডকে