Rohit Banerjee: ১২ ঘণ্টা ডাক্তারি করেও বাংলা ভলিবল দলে চান্স, বিস্ময়ের আরেক নাম রোহিত

পেশায় ডাক্তার, নেশা ভলিবল। কলকাতায় গান্ধী মূর্তির উল্টোদিকে ভলিবল টেন্টে গেলেই দেখা মিলবে রোহিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একঝাঁক খেলোয়াড়ের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম উজ্বল মুখ  তিনি। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের একটাই ট্যাগলাইন, 'যে খেলে,সে ডাক্তারীও করে।' যেখানে রোগীর চাপ সামলাতে না পেরে ডাক্তারি ছাড়ার হিড়িক দেখা যাচ্ছে, সেখানে রোহিত অন্যতম সেরা উদাহরণ।

Advertisement
১২ ঘণ্টা ডাক্তারি করেও বাংলা ভলিবল দলে চান্স, বিস্ময়ের আরেক নাম রোহিতমা বাবার সঙ্গে ভলিবল কোর্টে রোহিত, ডাক্তারি করছেন (ডানদিকে)

পেশায় ডাক্তার, নেশা ভলিবল। কলকাতায় গান্ধী মূর্তির উল্টোদিকে ভলিবল টেন্টে গেলেই দেখা মিলবে রোহিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একঝাঁক খেলোয়াড়ের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম উজ্বল মুখ  তিনি। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের একটাই ট্যাগলাইন, 'যে খেলে,সে ডাক্তারীও করে।' যেখানে রোগীর চাপ সামলাতে না পেরে ডাক্তারি ছাড়ার হিড়িক দেখা যাচ্ছে, সেখানে রোহিত অন্যতম সেরা উদাহরণ। 

ছিপছিপে ছয় ফুট তিন ইঞ্চির চেহারা দেখে অনেক খেলোয়াড়ের ভিড়ে আলাদা করা মুশকিল। ডাক্তারদের সামাজিক দায়বদ্ধতা অন্য যেকোনও পেশার থেকে আলাদা। ব্যস্ততা রয়েছে। সব মিটিয়ে ভলিবল প্রেম- বিরল উদাহরণ। 

বারো ঘণ্টা ডিউটি করেও ভলিবলে মজে রোহিত
বজবজে জগন্নাথ গুপ্ত মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্নশিপ করছেন। বারো ঘণ্টা ডিউটির পর বুধবার বিকেলে ভলিবল সংস্থার মাঠে খেললেন। কখনও বক্লার, কখনও লিফ্টার। ছয় ফুট তিন ইঞ্চির রোহিত সিঁথির রাসবিহারী বসু আদর্শ ব্যায়াম সমিতিকে তুললেন দ্বিতীয় ডিভিশনে। রোহিতের স্বপ্ন ছিল পেশাদার ভলিবলার হওয়ার। কিন্ত তা আর হয়নি ঠিকই। তারপরেও প্যাশন ফলো করার জন্যই ফাঁকা সময় ভলিবলকে বেছে নিয়েছেন। এই ভারসাম্যের খেলায় রোহিতের অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা-মা। সাঁতরাগাছি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ার সময় ভলিবলের জাতীয়স্তরে অনেক ট্রফি তাঁর ক্যাবিনেটে। জাতীয় জুনিয়র ভলিবলে তিনি বাংলার হয়ে একাধিকবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। 

বাবা-মা দু'জনেই ভলিবল প্লেয়ার
খেলাধুলোর পরিবেশ ছোট থেকেই পেয়েছেন রোহিত। তাঁর বাবা রানা বন্দোপাধ্যায় সিঁথির টিমের কোচ। ম্যাথমেটিক্সে অনার্স পাশ করে তিনি এখন কেন্দ্রীয় অডিটর্স জেনারেল অ্যাকাউন্টসে কর্মরত। বাংলার হয়ে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন ভলিবলে। খেলেছেন অফিস টিমের হয়েও। বর্তমানে তিনি চাকরির পাশাপাশি ব্যস্ত ক্লাব কোচিংয়ে। মা মিতা ব্যানার্জি ভারতীয় মহিলা টিমের হয়ে খেলেছেন একাধিক ম্যাচ। তিনি দক্ষিণ পূর্ব রেলের মেয়েদের ভলিবল টিমের কোচ।

বাবার সঙ্গে ম্যাচ খেলেছেন রোহিত
রোহিত, বাবার সঙ্গে ম্যাচ খেলেছেন। বাবার কাছ থেকেই পড়া এবং খেলাকে ভারসাম্য কি করে করতে হয় শিখেছেন। মাও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।  এই দু'জনই তাঁকে সব সামলে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। তবে ডাক্তারি সামলে কতদিন চালাতে পারবেন খেলা তা এখনও জানেন না রোহিত। এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। তারপরে নিট পিজি'র জন্য  প্রস্তুতি। অর্থোপেডিক্স নিয়ে এম এস করার ইচ্ছে আছে রোহিতের। সেটা আরও কঠিন পরীক্ষা। সেই চাপের জন্য প্রথম ডিভিশনে ভলিবল লিগে আর খেলেছেন না। কারণ সেখানে আরও চাপ। তবে খেলা ছাড়ছেন না। বাবার পরামর্শ মতো তৃতীয় ডিভিশনে খেলছেন। পরেরবার কী হবে, তা এখন বলতে পারছেন না।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement