দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত ছন্দে দেখা যাচ্ছে না বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। আইপিএল-এর (IPL 2022) মঞ্চেও ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়েছে তাঁর। ১২ ম্যাচে মাত্র একটা ৫০ রানের ইনিংস। তিনবার আউট শূন্য রানে। দুইবার তার মধ্যে গোল্ডেন ডাক। প্রথম বলেই আউট। শুধু তাঁর ভক্তরা নন, বিরাটের ফর্মে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরাও। কারণ এই বছরের শেষদিকেই অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে চলে যাবেন রোহিত শর্মারা। তাই বিরাটের ফর্মে ফেরা ভারতীয় দলের জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছেন, 'এখনই আইপিএল থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত বিরাটের। কিছুদিন ব্রেক নিয়ে ফেরা উচিত তাঁর।'
তবে একসময়ের সতীর্থের সঙ্গে একমত নন সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar)। তিনি মনে করেন, ড্রেসিংরুমে বসে থাকলে, ফর্ম ফেরত পাবে না বিরাট। তাঁকে মাঠে নেমে খেলতে হবে। শাস্ত্রী মনে করেন, অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিরাটকে। দুই তারকার দুই মত নিয়ে এখন দ্বিধায় ভারতের ক্রিকেট মহল। তবে শুধু শাস্ত্রী নন, বিসিসিআই-ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিরাটকে বিশ্রাম দিতে চাইছে। এমনটাই জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
এই নিয়েই আজতক বাংলার সঙ্গে কথা বললেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড দলের সাইকোলজিস্টের দায়িত্ব সামলান সাহেন গুপ্ত। কলকাতার এই স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট বলেন, ''এখন বিরাটের বিশ্রাম নেওয়া উচিত কি না আমার মনে হয় উনিই ভাল বলতে পারবেন। তাঁর উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।'' সাহেন মনে করেন, বিরাটের এখন ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন, ''উনি অসাধারণ কিছু ইনিংস খেলেছেন। শারীরিক ভাবেও দারুণ সক্ষম। তবে এখন কিছুটা খারাপ সময় যাচ্ছে। তাই এখন তাঁর উচিত, একেবারে এক এক করে ভেবে দেখা। কোনটা তাঁর জন্য ঠিক হচ্ছে আর সেটাকেই বেছে নেওয়া।''
বিরাট কোহলির ব্যাট দিয়ে শেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এসেছে ২০১৯ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও খারাপ ফর্ম চলছে তাঁর। আইপিএল ২০২২-এ এখনও পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ২১৬ রান করেছেন তিনি, গড় ২০ -এর নিচে। তবে এই সমস্ত তথ্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না সাহেন। তিনি বলেন, ''দেখুন ২০১৯-এর পর এক বছরেরও বেশি সময় ক্রিকেট হয়নি। তাই ওভাবে ভাবলে হবে না। এর আগেও ইংল্যান্ডে ২০১৪ সালে সমস্যায় পড়েছিলেন বিরাট। একটা ক্রিকেটারের কেরিয়ারে এমন সময় আসে। বিরাট আবার ঘুড়ে দাঁড়াবেন। এটাই আমরা সকলে আশা করি।''
আরও পড়ুন: 'বসে বসে ফর্ম ফেরে না,' বিরাটকে বার্তা গাভাস্কারের
আরও পড়ুন: দঃ আফ্রিকা সিরিজে দল থেকে বাদ বিরাট?
কোভিড, কোয়ারেন্টাইন আর বায়োবাবল মারাত্মক প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের উপর। মনে করেন সাহেন। তিনি বলেন, ''ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সমস্ত কিছু মেনে চলতে হয়। প্রায় প্রত্যেকদিন সকালে কোভিড টেস্ট, সমস্তটা মিলিয়ে অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়, আপনি ভাল করে দেখলে বুঝতে পারবেন, কোভিডের পর খেলা আবার শুরু হওয়ার সময় বড় ক্রিকেটারদের সকলেই যে দারুণ ফর্মে ছিলেন তা বলা যাবে না। সকলেই যে এখনও মানিয়ে নিতে পেরেছেন এমনটা নয়। তাই এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে আমি বিরাটের সঙ্গে কথা বলিনি তাই সঠিক করে বলতে পারব না।''