QR কোড স্ক্যান করে লেনদেন করেন, এমন অনেকেই রয়েছেন। আজকাল QR কোড স্ক্যান করে অতি সহজেই লেনদেন করা যায়। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে বিল পেমেন্ট সব কিছুই করা যায় QR কোডের মাধ্যমে। কিন্তু সতর্ক না হলে, এই QR কোডের মাধ্যমে জালিয়াতির শিকার হতে পারেন আপনি।
QR কোড এর পুরো অর্থ Quick Response। এটি প্রথমে জাপানে তৈরি হয়। বর্তমানে ভারতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। অনলাইন শপিং থেকে শুরু করে বুকিং সব কিছুতেই QR কোড এর ব্যবহার বেড়েছে। আর এই সুযোগে প্রতারিত করার নয়া সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন অপরাধীরা।
QR কোড স্ক্যান করার সময়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সাইবার অপরাধীরা এখন QR কোড বদলে দিচ্ছে। ফলে আপনি হয়তো কোথাও পেমেন্ট করতে যাচ্ছেন, সেই টাকা QR কোডের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে অপরাধীদের অ্যাকাউন্টে। অথচ আপনি যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তার অ্যাকাউন্টে কিন্তু সেই টাকা যাচ্ছে না।
QR কোড জালিয়াতির অনেক রকম ভাবেই হতে পারে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সাইবার অপরাধীদের ভুয়ো মেল আইডি থেকে QR কোড দিয়ে ইমেল পাঠায়। অনেক সময়ে মেলে ১০ হাজার লটারির জেতার কথা বলে স্ক্যান করতে বলা হয়। এই সব থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
পেট্রোল পাম্প কিংবা কোনও দোকানে QR কোড এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা লেনদেনের সময় সজাগ থাকা উচিত। অনেক সময়ে দোকানের QR কোডও বদলানো থাকে।
QR কোড স্ক্যান করার পরে প্রেরকের নাম আসবে। তখন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন কাকে আপনি টাকা পাঠাচ্ছেন। নিজে থেকে দেখে নেবেন সঠিক কাউকে টাকা পাঠাচ্ছেন কিনা। এই ধাপে সতর্ক থাকলেই জালিয়াতি এড়ানো সম্ভব হবে।