Artificial Intelligence for Vehicle Fitness Certificate: লক্ষ্য রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো। আর তাই গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। এ কাজে আরও বেশি করে প্রযুক্তি ব্য়বহার করা হবে।
আরও পড়ুন: বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সেই 'হিরো' অভিনন্দনকে বীরচক্র
জেলায় জেলায় হবে কেন্দ্র
গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলায় জেলায় তৈরি করা হবে কেন্দ্র। এ জন্য জমি দেখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। ২০২৪ সালের মধ্যে সে কাজ সেরে ফেলা হবে।
গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিটনেস সার্টিফিকেট (Vehicle Fitness Certificate) দেওয়ার জন্য জেলায় জেলায় প্রযুক্তি নির্ভর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। গাড়িতে যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা, ওই ‘অটোমেটেড ইন্সপেকশন অ্যান্ড সার্টিফিকেশন সেন্টার’ (Automated Inspection and Certification Centre)-এ যান্ত্রিক ভাবে তা পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: Urfi থেকে Sanjida পোশাকের জন্য ট্রোলড হয়েছেন এই টেলিসুন্দরীরা
জেলাশাসকদের নির্দেশ
এবং তা দেখার পরেই ফিটনেস সার্টিফিকেট (Vehicle Fitness Certificate) দেওয়া হবে। সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসনের তরফে অটোমেটিক ফিটনেস সেন্টার (Automatic System Centre) তৈরির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য জেলাশাসকদের জমি চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখনকার ছবি
এখন গাড়িতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না, তা মোটর ভেহিক্যাল ইন্সপেক্টররা (টেকনিক্যাল) পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁরাই গাড়ি নিরাপদ হিসাবে চিহ্নিত করে ফিটনেস সার্টিফিকেট (Vehicle Fitness Certificate) দেন। এই ধরনের ‘ম্যানুয়াল’ পরীক্ষায় বেশ কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা না-ও পরতে পারে।
কিন্তু নতুন ধরনের 'অটোমেটেড ইন্সপেকশন অ্যান্ড সার্টিফিকেশন সেন্টার’ (Automated Inspection and Certification Centre) তৈরি হলে গাড়ির যাবতীয় ত্রুটি সহজে ধরা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে এ ধরণের গাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের হানা, নৌকা থেকে ঠেলে ফেলে বাঁচলেন মৎস্যজীবী
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) পথ দুর্ঘটনা কমাতে চালু করেছিলেন 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ' (Safe Drive Save Life) কর্মসূচি। সেখানে বাইকচালকদের হেলমেট পরার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। হেলমেটহীন চালকদের নরমে-গরমে বোঝানো শুরু হয়।
কোথাও পুলিশ-প্রশাসন বেশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল, আবার কোথাও হেলমেটবিহীন বাইকচালককে দেখতে পেয়ে বোঝানোর রাস্তাও নেওয়া হয়েছিল। বাইক না থাকলে পাম্প থেকে পেট্রল মিলবে বলেও ঠিক করা হয়েছিল।
মানুষকে হেলমেট পরার ব্যাপারে আরও সচেতন করতে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তিনি পদযাত্রা করেন। এই প্রচার অভিযান (Safe Drive Save Life)-এর ফল মিলেছিল বলে দাবি রাজ্যের। কমেছিল দুর্ঘটনার সংখ্য়া।