ছোট বেলা থেকে তার কিছু করার তাগিদটা ছিলই। নদীয়ার হাঁসখালী থানার বগুলার বাসিন্দা শুভময় বিশ্বাস বর্তমানে পেশায় শিক্ষক। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।
কয়েক বছর আগেই সৌরশক্তি চালিত বাইক বা মোটরসাইকেল তৈরি করেছিলেন শুভময়বাবু। বর্তমানে সেটির আরও আধুনিকীকরণের পর এ বার পেটেন্ট পাওয়ার আশায় রয়েছেন তিনি। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।
শুভময়বাবুর তৈরি এই সৌরচালিত বাইকের আরও একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হল, হেলমেট না পরলে বা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে উদ্যত হলে কোনও মতেই স্টার্ট নেবে না এই বাইকের ইঞ্জিন! ফলে সহজেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।
কী ভাবে এমন একটা মোটরসাইকেল তৈরির কথা মাথায় এল? বেশ কয়েক বছর আগে শুভময়বাবুর পাড়ার এক বন্ধু একটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই ঘটনা পরই পথ নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এই বিশেষ বাইক তৈরি করেন তিনি। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।
দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সেল দিয়ে, এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন রকম সেন্সর ব্যবহার করে শুভময়বাবু তৈরি করে ফেলেছেন পরিবেশ বন্ধু, সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।
শুভময়বাবুর দাবি, গতিতে বাকি মোটরসাইকেলগুলির তুলনায় কোনও অংশে কম হবে না। বরং পেট্রোল চালিত বাইকের মতো ধোঁয়া বা দূষণের কোনও ঝুঁকিই এতে নেই। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।
শুভময়বাবুর বিশ্বাস, সরকারি সহযোগিতা পেলে বাংলায় সৌরশক্তি চালিত বাইক বা মোটরসাইকেল তৈরির কারখানা তৈরি করা যাবে। ফলে এ রাজ্যে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বিভিন্ন আকর্ষণীয় মডেল, আধুনিক বৈশিষ্ট যুক্ত এই মোটরসাইকেলর দাম হবে তবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই। ছবি ও তথ্যসূত্র: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নদীয়া।