
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছিল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে চালু হল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার থেকে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট দিনে রাজ্যের প্রায় ১০ কোটিরও বেশি মানুষ বাড়িতে বসেই রেশনের চাল, ডাল পাবেন। রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার রেশন ডিলার আজ থেকে সরাসরি জুড়ে গেলেন দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সঙ্গে।

গ্রাহক ও রেশন ডিলারদের সুবিধার্থে এলাকা ভিত্তিতে প্রতি ৫০০ মিটার দূরত্বে একটি করে রেশন ভ্যান দাঁড় করিয়ে রেশন বিলির পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাহকরা এখন থেকে রাজ্যের যে কোনও রেশন ডিলারের থেকেই তাঁর বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রি নিতে পারবেন। তবে আধার নম্বর নথিভুক্ত হয়েছে এমন গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন।

রেশন ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য এখন ৫০ হাজার টাকা পুঁজি থাকলেই চলবে। আগে এই ডিলারশিপ পেতে ৫ লক্ষ টাকার পুঁজি দেখাতে হতো। পর তৃণমূল সরকার ওই টাকা কমিয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হয়।

এর পাশাপাশি শহুরে এলাকায় নতুন রেশন দোকান খোলার জন্য দোকান আর গুদামের আয়তন ছোট করা হবে। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের রেশন ডিলারশিপ দেওয়ার উপর জোর দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর পাশাপাশি নতুন হোয়াটসঅ্যাপ ‘চ্যাটব্যাট’ চালু করেছে খাদ্যদফতর। হোয়াটসঅ্যাপ ‘চ্যাটব্যাট’ নম্বর হল 9903055505। এর মাধ্যমে খাদ্যদপ্তর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য মিলবে। রেশন ব্যবস্থায় অভাব-অভিযোগ থাকলে তাঁরা সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ করে জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দফতরকে।

রেশনের খাদ্য দেওয়ার আগে 'পস' মেশিনে গ্রাহককে আঙুলের ছাপ দিয়ে তাঁর Aadhaar নম্বর যাচাই করে নেওয়া হবে। রেশন কার্ডের প্রকৃত গ্রাহকের হাতেই রেশনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে কিনা, তা যাচাই করেই দেখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুয়ারে রেশন' ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও পস' মেশিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রেও Aadhaar নম্বর লিঙ্ক করা জরুরি হয়ে পড়ছে। এর জন্য Digital Ration Card এবং Aadhaar নিয়ে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের কাছে যেতে হবে। রেশন দোকানের ‘ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস’ (ই-পস) যন্ত্রে এই সংযুক্তিকরণ হবে।