ভারতে সোনা প্রতিটি প্রতিটি মানুষই বিশেষ ভাবে পছন্দ করে। প্রতিটি বাড়িতেই কিছু সোনা পাওয়া যায় কোন না কোন ভাবে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২৪ থেকে ২৫ হাজার টন সোনা ভারতের বাড়ি বাড়িতে এবং মন্দিরগুলিতে পড়ে আছে। কিন্তু বিড়ম্বনার বিষয় হল, ওই সব সোনা বছরের পর বছর ধরে মানুষের ঘরে এ ভাবে পড়ে থাকলেও কোনও কাজে আসে না। মানুষ সেটি দেখেই খুশি থাকে। এ জন্য সরকার বাড়ি, মন্দিরে ইত্যাদিতে পড়ে থাকা সোনার উপর মানুষকে সুবিধা দিতে সোনার নগদীকরণ প্রকল্প চালাচ্ছে।
গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম কী? গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিমের (GMS) অধীনে, আপনি ঘরে রাখা সোনা থেকে কিছু আয় করতে পারেন। এই স্কিমের আওতায় ঘরে রাখা সোনা ব্যাংকে জমা করা যাবে। এর উপর, আপনি সোনার বার্ষিক মূল্যের উপর ২.২৫ থেকে ২.৫ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ পাবেন।
এই স্কিমের অধীনে, আপনি ব্যাংকে যে কোনও গয়না, স্বর্ণমুদ্রা বা সোরা বার জমা করতে পারেন। এর অধীনে, আপনি বাড়িতে থাকা সোনা ব্যাংকে জমা করে তার উপর সুদ পাবেন এবং দ্বিতীয়ত এর জন্য লকারের বার্ষিক ভাড়াও দিতে হবে না। সব মিলিয়ে আপনার সোনা নিরাপদ থাকবে।
সরকার ২০১৫ সালে এই স্কিমটি শুরু করেছিল, কিন্তু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এই বছরের শুরুতে এই স্কিমটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিল, যার পরে এটিকে রিভাম্পড গোল্ড ডিপোজিট স্কিম (R-GDS) বলা হয়। এর উদ্দেশ্য হল ঘর এবং প্রতিষ্ঠান (ট্রাস্ট) এ রাখা সোনা বের করে আনা এবং এর আরও ভালো করে তার ব্যবহার করা। সোনা মাঝারি মেয়াদে ৫ থেকে ৭ বছর এবং দীর্ঘ মেয়াদে ১২ বছর জমা করা যেতে পারে।
কত সুদ প্রদান করা হয়: বর্তমানে, মাঝারি মেয়াদের আমানতের উপর বার্ষিক ২.২৫% এবং দীর্ঘমেয়াদী আমানতের উপর ২.৫% সুদ দেওয়া হয়। তিন বছর পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী স্কিমগুলিতে, সুদ শুধুমাত্র ০.৬০ থেকে ০.৭৫ শতাংশ। মাঝারি মেয়াদী স্কিমের জন্য ৩ বছর এবং দীর্ঘমেয়াদী স্কিমের জন্য ৫ বছর লক-ইন পিরিয়ড রয়েছে, অর্থাৎ এর আগে আপনি সোনা তুলে নিতে পারবেন না।
কত সোনা রাখা যাবে: গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিমের আওতায় কমপক্ষে ১০ গ্রাম সোনা জমা রাখতে হবে। আর-জিএমএস-এর আওতায় সোনা জমা করার কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না। SBI সোনার জন্য কাস্টোডিয়ান বা জিম্মাদার হবে। এই বছর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে যে, গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিমে করা পরিবর্তন অনুযায়ী, এখন মিডিয়াম টার্ম গোল্ড ডিপোজিট এবং লং টার্ম গোল্ড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া হবে।
কোনও কর নেই: এই পরিকল্পনার সুবিধা সকল তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাওয়া যায়। ব্যাংকে গ্রাহকের সোনা জমা অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই স্কিমের অধীনে অর্জিত সুদের উপর কোন কর নেই। শুধু তাই নয়, যদি আপনার সোনার মূল্য বৃদ্ধি পায়, তাহলে ম্যাচুরিটির ক্ষেত্রে আপনার উপর কোনও ধরনের মূলধন লাভ করও নেওয়া হবে না।
সরকার ২০১৫ সালে এই স্কিমটি শুরু করেছিল, কিন্তু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এই বছরের শুরুতে এই স্কিমটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিল, যার পরে এটিকে রিভাম্পড গোল্ড ডিপোজিট স্কিম (R-GDS) বলা হয়। এর উদ্দেশ্য হল ঘর এবং প্রতিষ্ঠান (ট্রাস্ট) এ রাখা সোনা বের করে আনা এবং এর আরও ভালো করে তার ব্যবহার করা। সোনা মাঝারি মেয়াদে ৫ থেকে ৭ বছর এবং দীর্ঘ মেয়াদে ১২ বছর জমা করা যেতে পারে।