Railways Alarm Chain Pulling Rules: যুক্তিসঙ্গত এবং পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টানা ভারতীয় রেলওয়ে আইন, ১৯৮৯-এর ১৪১-এর ধারায় একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে ১,০০০ টাকা জরিমানা বা এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা-কারাদণ্ড উভয়ই হতে পারে। কিন্তু এমন বেশ কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যেগুলির ক্ষেত্রে ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টানলেও জেল-জরিমানার ভয় নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক...
কখন ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টানলেও জেল-জরিমানার ভয় নেই?
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আপনি ট্রেনের অ্যালার্ম চেনটি শুধুমাত্র তখনই টানতে পারেন যখন কোনও শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি ট্রেনে উঠতে ব্যর্থ হন এবং রেল স্টেশনেই থেকে যান। অন্যদিকে, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম কোনও ব্যক্তিকে (যাত্রী) না নিয়েই যদি ট্রেন ছেড়ে দেয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে চেন টানা যেতে পারে। এ ছাড়া ট্রেনে আগুন লাগলে বা ধোঁয়া বেরলে, ডাকাতি বা যে কোনও জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেই চেন টানলে কোনও জেল-জরিমানার ভয় নেই।
আরও পড়ুন: PAN-Aadhaar লিঙ্কিং, করদাতাদের থেকে কত টাকা আদায় হচ্ছে কেন্দ্রের?
কখন ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টানলে জেল-জরিমানা হবে?
অনেক সময় কোনও জিনিস, যাত্রীর লাগেজ বা ব্যাগ, মোবাইল ফোন চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলে সেটি পাওয়ার জন্য অনেকে ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টেনে দেন। এ ক্ষেত্রে কিন্তু যিনি চেন টানবেন, তাঁর জেল বা জরিমানা হতে পারে। এ বার প্রশ্ন হল, তাহলে ওই জিনিস ফেরত পাবেন কী করে? এর জন্য প্রথমে ট্র্যাকের পাশের লোহার খুঁটিতে হলুদ এবং কালো রঙে লেখা নম্বরটি নোট করুন। এর পরে আপনার ফোনটি কোন দুটি রেল স্টেশনের মাঝে পড়েছে, তা জেনে রেলের পুলিশ বাহিনীর হেল্পলাইন নম্বর ১৮২ বা রেলওয়ে হেল্পলাইন নম্বর ১৩৯-এ কল করে আপনার জিনিস পড়ে যাওয়ার বিষয়টির জানান। এই সময়েই ওই পোল নম্বরটি RPF-কে দিতে হবে। এই তথ্যের মাধ্যমে রেল পুলিশ চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া মালটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। এর ফলে খোয়া যাওয়া জিনিসের পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, পুলিশ শুধু খোয়া যাওয়া জিনিসটি উদ্ধারের চেষ্টা করে দেখবে। যদি কেউ লাইনের ধারে পড়ে থাকা আপনার জিনিসটি তুলে নিয়ে থাকে, তাহলে আপনি তা ফেরত পাবেন না।