Poplar Tree Cultivation : নিত্যদিনের জীবনে, কাগজ, প্লাইউড, কাঠের বাক্স বা কাঠের স্টিকের ব্যবহার আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি। কিন্তু এটা জানি কি, এগুলি তৈরিতে কোন গাছের কাঠ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়? পপলার গাছ এই শিল্পের অন্যতম মেরুদণ্ড। তাই এই গাছের প্রচুর চাহিদাও রয়েছে বাজারে। দামও যথেষ্ট। তাই জমিতে এই গাছ লাগালে লাভের মুখ দেখা যাতে পারে। অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই এই গাছ লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন।
পঞ্জাব-হরিয়ানায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে এই গাছ
এই গাছটি ভারতে বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিন্দিভাষীদের কাছে এই গাছের নাম পারস, পিপল বা পোরুশ। গুজরাতিরা একে বলেন পারস পিপল। আর বাংলায় এই গাছের নাম পোরেশ। মাত্র ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে গাছটির উচ্চতা হয় ৮৫ ফুট। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় সবেচেয়ে বেশি এই গাছ দেখা যায়। তাছাড়া উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মুকাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশেও দেখা যায় এই গাছ। পপলার গাছ ভালভাবে বেড়ে ওঠার জন্য চাই ৫ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
সরাসরি সূর্যের আলো প্রয়োজন
এই গাছকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। তার সঙ্গে দরকার সূর্যের সরাসরি আলো। এছাড়া বিভিন্ন রাসায়নিকের মাধ্যমেও দেখভাল করা হয় এই গাছের।
এই গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় বহু সামগ্রী
শুধুমাত্র ভারতেই নয়, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জমিতে এই গাছ লাগান মানুষ। কাগজ, প্লাইউড, চপ স্টিক, বাক্স, দেশলাইসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার হয় এই কাঠ।
আরও পড়ুন - গাড়ি কেনার প্ল্যান? বাজারে আসছে Maruti-র ৫ নয়া মডেল