প্রায় প্রত্যেক মানুষই আয়ের একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করেন, যাতে বৃদ্ধ বয়সে কোনও আর্থিক সমস্যায় পড়তে না হয়। চাকরির সময়ই প্রত্যেকে আর্থিকভাবে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা করতে পারেন। জনগণের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সরকার ইতিমধ্যে একটি স্কিমও চালু করেছে, যার নাম অটল পেনশন যোজনা। তাতে এতে বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে এক থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়।
কারা এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারেন?
অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana) ১৮ থেকে ৪০ বছরের মানুষের জন্য। ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা এই পেনশন প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না। কারণ ২০ বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে, তবেই ৬০ বছর বয়সের পর এই পেনশনের সুবিধা পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালু করেছিলেন। এই স্কিমের অধীনে, কোনও ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে বা যদি ইতিমধ্যেই অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তবে সেটিও এর সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে।
৫ হাজার টাকা পেনশনের জন্য কী করতে হবে?
কারও বয়স যদি ১৮ বছর হয় এবং তিনি যদি ৬০ বছর বয়সের পর মাসে ৫,০০০ টাকা পেনশন চান, তাহলে তাঁকে প্রতি মাসে ২১০ টাকা করে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে। আর যদি প্রতি মাসে ১০০০ টাকা পেনশন চান তাহলে মাসে ৪২ টাকা করে জমা দিতে হবে।
টাকা কিভাবে বের হবে?
বিশেষ পরিস্থিতিতে ৬০ বছর বয়সের আগেও এই স্কিম থেকে টাকা তোলা যেতে পারে। ৬০ বছরের আগে স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রী পেনশনের সুবিধা পাবেন। যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ৬০ বছরের আগে মারা যান, তাহলে জমা করা অর্থ নমিনি পাবেন।
কর অব্যাহতি
অটল পেনশন যোজনার অধীনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার কার্ড এবং সক্রিয় মোবাইল নম্বর প্রয়োজন৷ এই স্কিমে মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক সুবিধায় টাকা জমা দেওয়া যায়। এছাড়াও অটো-ডেবিটের সুবিধাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্কিমের প্রিমিয়ামের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।
অটল পেনশন যোজনায় বিনিয়োগ করে পেনশন পাওয়ার পাশাপাশি ট্যাক্সও বাঁচানো যায়। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে, ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বাঁচানো যেতে পারে। আয়করের ধারা ৮০C-এর অধীনে এই ছাড় পাওয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় ৭১ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন - এশিয়ার দীর্ঘতম দাঁতযুক্ত হাতির মৃত্যু, সাইজ কত?