হাইলাইটস
- মহামারী আমাদের কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করে
- দেখে মনে হচ্ছে পরিবর্তনগুলি এখানেই থাকবে
- এক সমীক্ষায় দূরবর্তী কাজ করা বা রিমোট ওয়ার্ক এখন নিউ নরমাল হয়ে উঠেছ
Work from Home: করোনা অতিমারী আমাদের কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। এবং দেখে মনে হচ্ছে পরিবর্তনগুলি এখানেই থাকবে। চাকরির সাইট SCIKEY-এর ট্যালেন্ট টেক আউটলুক ২০২২-এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দূরবর্তী কাজ করা বা রিমোট ওয়ার্ক (Remote Work) এখন নিউ নরমাল (New Normal) হয়ে উঠেছ।
আরও পড়ুন: গাঁজা-ভাংয়ে লুকিয়ে রয়েছে করোনাকে খতম করার হাতিয়ার, তবে সতর্কও করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা
এর পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, ৮২ শতাংশ কর্মী অফিস থেকে কাজ করার বদলে বাড়ি থেকে কাজ করা (Work from Home) পছন্দ করছেন। কারণ তাঁরা মহামারীর দুই বছরে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলেছেন।
আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে অভিষেকের সংঘাত তৈরি হয়েছে?
"এই নয়া পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত আকর্ষণীয় যে কীভাবে দ্রুত বিকশিত 'ফিউচার অফ ওয়ার্ক' চলতি মানবসম্পদ ব্যবস্থাকে অতিক্রম করছে এবং একটি ইকোসিস্টেমে রূপান্তরিত হচ্ছে যা এখন কোম্পানির বেতন এবং অফিসের সীমানার বাইরের মানুষদেরও যুক্ত করে," SCIKEY এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও করুণজিত কুমার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান।
"রিমোটে কাজের জগতে স্বাগত, অর্থনীতি এবং ভিড়ের শক্তি যা বিস্ফোরণের মুখে রয়েছে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি," বলেছিলেন তিনি।
ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে যে বিষয়গুলি-
- ৬৪ শতাংশ কর্মী বলেছেন যে তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করে বেশি উৎপাদনশীল এবং কম চাপ অনুভব করেন
- এইচআর বিভাগের কর্মীদের জন্য সামনাসামনি না হয়ে রিমোটে কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয় হয়ে উঠেছে
- ৮০ শতাংশেরও বেশি এইচআর ম্যানেজার এবং ৬৭ শতাংশেরও বেশি কোম্পানি বলেছেন যে যথাক্রমে পূর্ণ-সময়ের অফিসে উপস্থিতি এবং শুধুমাত্র অফিসে উপস্থিতির জন্য কর্মচারী নিয়োগ করা আরও কঠিন হয়ে উঠছে
- কারিগরি কর্মীরা এখন দূরবর্তী কাজকে মানে রিমোটে কাজকে আদর্শ হিসেবে আশা করে এবং এটা শুধুমাত্র একটি পছন্দ নয়; যে নিযোগকর্তারা মানিয়ে নিতে অনিচ্ছুক তাঁরা ভাল প্রতিভা নিয়োগ এবং ইতিমধ্যে কর্মচারীদের ধরে রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন
- কারিগরি কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করার সময় নতুন স্বাধীনতা এবং উদ্ভাবনী দিক খুঁজে পেয়েছেন এবং এর জন্য এইচআরকে আরও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে
- যে সমস্ত কর্মীরা কোনও কাজে নিযুক্ত নন বা যাঁদের তুলনামূলক কম ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁরা দ্রুত বিকল্প খুঁজে পাবেন এবং প্রাক-মহামারী সময়ের চেয়ে দ্রুত চাকরি ছেড়ে দেবেন
- প্রযুক্তি মহামারীতে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে এবং একইভাবে কোম্পানিগুলি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উপায়ও রয়েছে। যাতে এটি সবার জন্য আরও অর্থবহ এবং সুবিধার হয়
- কারিগরি নিয়োগের এইচআরদের মাত্র ১৮ শতাংশ ২০২২ সালে নিয়োগের প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন ব্যবহার করার দিকে নজর দিচ্ছেন। যা ২০১৯ সালে ছিল ৬৮ শতাংশ। মানে তার থেকে অনেক নেমে এসেছে
- অফিস স্পেসগুলি আরও বেশি করে মাঝে মাঝে মিটিংয়ের জায়গা এবং বিকল্প কর্মক্ষেত্রে পরিণত হবে
- মহামারীর দুই বছর থেকে যে নতুন নমনীয়তা এসেছে তা নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী- দু'পক্ষকেই উপকৃত করেছে
- ৭০ শতাংশেরও বেশি এইচআর এবং টেক টিম ম্যানেজার বলেছেন যে ভাল কাজ করার জন্য অন-দ্য-স্পট বা দ্রুত পুরষ্কার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁরা এমন কর্মী যাঁরা বিক্ষিপ্ত এবং নিয়মিত অনুপ্রেরণার প্রয়োজন, তাঁদের ধরে রাখার জন্য এটা দরকার
- দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৬ শতাংশেরও বেশি তাঁদের প্রতিভাবান কর্মীবাহিনীকে জড়িত এবং ধরে রাখার জন্য তাদের মডেল হিসাবে দ্রুত পুরস্কার দেওয়া শুরু করেছে