২০০৬ সালে তৈরি সুরজ বরজাতির ছবি 'বিবাহ'র কথা মনে আছে নিশ্চয়ই, কনে অমৃতা রাও বিয়ের দিন আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। ছবিতে কাকার মেয়ে এবং শহীদ কাপুরকে বাঁচানোর জন্য পুড়ে যায় সে। রিলের এই চিত্রনাট্য এবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে দেখা গেল এই ঘটনা। (প্রয়াগরাজ থেকে পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের প্রতিবেদন)
এই ঘটনাটি ঘটেছে সংগম নগরী প্রয়াগরাজে। নববধূ আরতি, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে যুবক অর্থাৎ বর। হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন তাঁরা।
প্রকৃতপক্ষে, প্রতাপগড়ের কুন্ডা অঞ্চলে বসবাসরত আরতির বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এবং ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা আসার কথা ছিল। বিকেলে আরতি ছাদ থেকে টেরেসে নেমে এসেছিলেন তার তিন বছরের বৃদ্ধ ভাগ্নাকে বাঁচাতে। পড়েছে। দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডটি ভেঙে যায় এবং উভয় পায়ের শক্তি চলে যায়। বাড়ির লোকজন তাকে প্রয়াগরাজের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
বর অধেশের বাড়িতে জানানো হলে তার বাড়ি থেকে দুজন খোঁজ নিতে আসে। মামলার সত্যতা এবং ঘটনাটি অধেশকেও দেওয়া হয়েছিল। আরতির বাড়ির লোকেরা অবধেশকে আরতির ছোট বোনকে বিয়ে করতে বলেছিল, কিন্তু সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরতিই তার জীবনসঙ্গী হবে, যাই হোক না কেন, তিনি সারা জীবন আরতির পাশে থাকবে।
অধেশ তাঁর ধর্মীয় স্ত্রী আরতির পুরো যত্ন নেন। দুজনের সাহসকে সালাম করেছেন নিকটাত্মীয় ও পরিবারের সদস্যরা।
আরতির পরিবারের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুন্ডায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। যেখানে আরতি বিছানাতেই রয়েছে। এরপরে আরতিকে প্রয়াগরাজের এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।