হুজুগে বাঙালি। ট্রেন্ডে গা ভাসাতে জুড়ি নেই! লকডাউনের সময় 'ডালগোনা কফি'-তে নেটমাধ্যম ভরিয়ে দিয়েছিল বাঙালি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই চলে এল 'কাকলি ফানির্চার'। যে দোকানের বিজ্ঞাপন সীমান্তের বেড়াজালও মানেনি। তার পর চলে এলেন বাদাম কাকু। তাঁর 'বাদাম বাদাম' গান তোলপাড় করে দিল নেট মাধ্যম। তখন সবার মুখে মুখে 'বাদাম বাদাম দাদা বাদাম বাদাম'। সেই 'বাদামকাকু'র হাতে এখন আইফোন। বাড়িও তৈরি করে ফেলেছেন। ট্রেন্ডিংয়ের এই ধারায় যেন ক্ষণিক বিরতির পর এসে গিয়েছে 'গন্ধরাজ'। নেটিজেনরা এখন ডুবে গন্ধরাজে।
কীভাবে ছড়াল এই মিম?
এই তো সেদিনের ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতার লর্ডস মোড়ে একটি দোকানের গন্ধরাজ মোমোর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। মোমো তা-ও আবার গন্ধরাজ!ভরা শ্রাবণে পান্তা ভাত, ইলিশ ভাজা আর গন্ধরাজের ম ম গন্ধ, আহা!সেই গন্ধরাজের মোমো চেখে দেখতে ভিড় বাড়তে থাকে রসনাপ্রিয় বাঙালির। তার পর এক ফুডব্লগার সবুজ কাঠি রোলের ছবি দিয়ে দাবি করেন, এটি গন্ধরাজ রোল। পাওয়া যায় নাকি বিজয়গড়ে!
এরপরই নেটমাধ্যমে গন্ধরাজ ভাইরাল হয়ে ওঠে। যাহা সবুজ তাহাই হয়ে ওঠে গন্ধরাজ। এমনকি রাজনৈতিক দলও! নেটিজেনরা একের পর এক মিম পোস্ট করতে থাকেন ফেসবুকে। আসল, নকল বোঝার উপায় নেই! কেউ কেউ ছবির কারসাজিও করেছেন। ফুটবল দল, পড়শি দেশের পতাকা থেকে কোনও ব্যক্তি- গন্ধরাজে বিভূষিত।
নেট মাধ্যমে একের পর এক মিম পোস্ট করে চলেছেন নেটিজেনরা। তেমনই কিছু পোস্ট থাকল আপনাদের জন্য -
আরও পড়ুন- এই তারিখগুলিতে জন্মানো ব্যক্তির উপর সদয় শনিদেব, ফকির থেকে হন রাজা