প্রেমিকের বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে অন্য জায়গায়। খবর পেয়ে প্রেমিকা হত্যে দিলেন তাঁর বাড়িতে। সঙ্গে হুঁশিয়ারি। অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে করতে দেবেন না। নদিয়ার মাজদিয়ার ঘটনা।
ভাললাগা আর ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবে ভালবাসা অনেক ক্ষেত্রে সফল হয় অনেক ক্ষেত্রে হয় না। তবে ভালবাসার কাছেও অনেকে হারতে হয়।
আরও পড়ুন: এবার গোসাবায় বাঘের পায়ের ছাপ, পৌঁছেছে বন দফতর
আরও পড়ুন: রোজ জমা করুন ৬৭ টাকা, ৫ বছরে আপনার সন্তান লাখপতি
এ এক অন্য অধিকার
নদিয়ার মাজদিয়ার প্রেমিকের বাড়ির সামনে স্ত্রীর অধিকার পেতে ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া লক্ষ্মীডাঙার গোপাল সাধুখাঁর ছেলে বাবু সাধুখাঁ পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। অন্যদিকে স্বর্ণখালী মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা মাম্পি বিশ্বাসের মা-বাবা দু'জনেই মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন মাম্পি।
আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে হলে প্রবীণদের মানতেই হবে এই ৫ বিষয়
দীর্ঘদিনের সম্পর্ক
তাঁর দাবি, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বাবু সাধুখাঁর সঙ্গে তাঁর ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। মাম্পি জানান, তিনি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন, বাবুকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এবং ঈপ্সিতার কলমে রাজর্ষির 'লেডি ম্যাকবেথ' মিথিলা! কীভাবে সম্ভব হল?
আরও পড়ুন: টাক পড়ছে? ছেলেদের মাথায় গজাবে নতুন চুল, উপায় খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
বাড়িতে হাজির
এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবর সন্ধেয় মাম্পি হাজির হন বাবুর বাড়িতে। কিন্তু বাবুর পরিবারের সদস্যরা মাম্পির সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি নন। অন্যদিকে, বাবুকে বিয়ে করার জন্য নাছোড়বান্দা মাম্পি।
আরও পড়ুন: উগসর্গ থাকলেই COVID পরীক্ষা করাতে হবে, রাজ্যের কাছে দাবি দিলীপের
এরপরই বাবুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে যান মাম্পি। খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ আসে। বাবুর পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করে। শত বোঝানোর পরেও মাম্পি বাড়ি ছাড়তে নারাজ।
কার্যত হুঁশিয়ারি
তাঁর দাবি, তাঁকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি বাড়ি থেকে বেরব না। পুলিশ চেষ্টা করেন মাম্পিকে বোঝানোর। মাম্পি বিয়ে ছাড়া কিছুতেই বাড়ির বাইরে যাবে না বলে জানান। অবশেষে পুলিশ তাঁকে বলে অভিযোগ না জানালে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, তিনি অভিযোগ দায়ের করতে চলেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
তাঁর দাবি
তিনি আরও দাবি করেন, বাড়ি থেকে মেয়ে দেখতে গিয়েছিল। বাবু অস্বীকার করেন। খারাপ লাগে। এত বছরের সম্পর্ক। নিশ্চয়ই খারাপ লাগে।
তিনি আরও দাবি করেন, কথা বলতে এসেছিলাম। আমি তাঁর কাছ থেকে জানতে চাই। তোমার কি মেয়ে দেখতে গিয়েছে? বলছে না। কোনও কথা শোনে। কথা শোনেনি। আমি চলে যেতাম। অন্য কোনও মেয়েকে আসতে দেব না। এক বছরের সম্পর্ক। আমি এখান থেকে যেতে চাই না। আমার জীবন নষ্ট করেছে।