জেলার সপ্তমবর্ষ জন্মদিনে কোথাও দেখা গেল না বিজেপির পাঁচ নির্বাচিত বিধায়ককে। এমনকী বিজেপির তরফ থেকে জেলার জন্মদিন উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ গ্রহন করতে দেখা গেল না। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে বিজেপির বিধায়কদের অভিযোগ জেলা প্রশাসন থেকে তাদের জেলার জন্মদিন অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি। তাই জেলার জন্মদিনের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
যদিও শুক্রবার করোনা আবহেও আলিপুরদুয়ার জেলার সপ্তমবর্ষ জন্ম জয়ন্তীতে ব্যাপক উচ্ছ্বাস এবং আনন্দের সাথেই কাটালো জেলাবাসী।
সপ্তমবর্ষ জেলার জন্মদিনে গোটা জেলা জুড়ে দিনভর নানা অনুষ্টানের মধ্যে কাটালো জেলার মানুষ। কোথাও দিনভর বেজেছে জাতীয় সংগীত আবার করোনা বিধি মেনে হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে ছয়টি ব্লকের, ব্লক প্রশাসন জেলার জন্মদিন পালন করে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সাড়ম্বরে জেলার জন্ম দিনটি পালন করা হয়। ২০১৪ সালের ২৪ শে জুন আলিপুরদুয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে সাবেক জলপাইগুড়ি জেলা থেকে পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আলিপুরদুয়ার জেলা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে ২৪ শে আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলার মর্যাদা প্রদান করেন। এরপর থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার পথ চলা শুরু। জেলার প্রথম জেলা শাসক হিসবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন আ্যলিস ভাজ এবং জেলার প্রথম পুলিশ সুপার হন অনুপ জয়সওয়াল।
এরপর একে একে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যা, জেলার পুলিশ সুপার ভবন, ফ্লাই ওভার থেকে শুরু করে জেলার আমূল পরিবর্তন ঘটে। জেলার মানুষের কাছে এই ২৪ শে জুন দিনটি একটি আবেগের দিন দিন হিসেবে পরিচিত।
জেলাবাসীর প্রায় ৩০ বছরের আন্দোলনের ফলে আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা হিসেবে মর্যাদা প্রদান করেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।তৎকালীন বাম জমানায় আলিপুরদুয়ারের আরএসপি বিধায়ক নির্মল দাস, জেলা কংগ্রেসের প্রয়াত প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বরঞ্জন সরকার, ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সমিরেন্দ্র প্রসাদ চক্রবর্তী, সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একযোগে পৃথক জেলার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করেন।
কিন্তু জলপাইগুড়ির সিপিএম নেতাদের বিরোধিতার কারণেই তৎকালীন বাম সরকার আলিপুরদুয়ারকে জেলার মান্যতা দেননি।
তবে ২০১১ তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়।