ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! তা ছাড়া আর কীই বা বলা যাবে তাকে। একশো বছরেরও বেশি আগে স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চালু করেছিলেন সম্প্রীতির রাখি।
উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের তৎকালীন শাসক লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ আইনের বিরোধিতা করা এবং সঙ্গে দেশবাসীর মধ্যে একাত্মবোধ জাগিয়ে তোলা।
তারপর দীর্ঘ বছর কেটে গিয়েছে, সেই পুরনো অস্ত্র তোলাই ছিল। ফের পুরনো অস্ত্রে শান দিয়ে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করল শিলিগুড়ির ছাত্রছাত্রীরা।
তিথি মেনে রাখি এখনও বেশ কিছুদিন দেরি রয়েছে। তবে এ রাখি মৈত্রীর রাখি। উত্তরবঙ্গকে ভাগ করে আলাদা রাজ্যের দাবিতে ধুয়ো তুলেছে বিজেপি।
তাই আরও একবার বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে পথে নামল শহরের ছাত্রছাত্রীরা। হাতে হলুদ সুতোর রাখি। উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার দাবির বিরোধিতায় রাখি পরিয়ে সম্প্রীতি বজায় রাখা দাবি জানালো তারা।
উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এদিন বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে শিলিগুড়িতে মৌন প্রতিবাদে সামিল হয় স্টুডেন্ট সোসাইটি অফ শিলিগুড়ি।
এদিন তারা প্ল্যাকার্ড হাতে বাংলাকে অখন্ড রাখার দাবি জানায়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে রাখি পরিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও দেয় তারা। পুলিশ-পথচারী-গাড়িচালক-ব্যবসায়ী সকলকেই রাখি পড়ান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পাহাড় সমতল। সেই সময় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল সর্বত্র।
সেদিন থেকে ২৫ জুনকে শিলিগুড়ি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই দিনের কথা মাথায় রেখে এদিনও মৌন প্রতিবাদ জানায় ছাত্র-ছাত্রীরা৷ প্ল্যাকার্ড হাতে বাংলাকে অখন্ড রাখার দাবি জানায় তারা।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে রাখি পরিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও দেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সংস্থার সদস্য বিবেক ঝা বলেন, "এই করোনা আবহে যখন মানুষ দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য। সেই সময় কিছু মানুষ আবার বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে। বাংলাকে কোনওভাবেই ভাগ হতে দেওয়া যাবে না। সেজন্যই তার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা পথে নেমেছি।"