North Bengal Famous Durgapuja: পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে। কলকাতাতে বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে দেবীপক্ষের সূচনার আগেই। সাজো সাজো রব উৎসবকে ঘিরে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গেও প্রস্তুতি শেষের পথে। কলকাতার মতো না হলেও তৃতীয়া বা চতুর্থীতেই বেশিরভাগ মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবার আবার বাড়তি উৎসব পাচ্ছে কার্নিভালের রূপে। ফলে সব মিলিয়ে ঢাকে কাঠি প্রায় পড়েই গিয়েছে।
পুজোর ভরা মরশুমে যদি শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে পুজো মণ্ডপগুলোও ঢুঁ মারতে পারেন। আসুন জানিয়ে দিই কোন পুজোগুলো দেখতে পারেন। যাঁরা অন্য জায়গা থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হাজির হন, তাদের জন্য একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুজোগুলি দেখলে মন ভরে যাবে।
শিলিগুড়ি
সবার প্রথমেই উত্তরবঙ্গের অলিখিত রাজধানী শিলিগুড়ি। এখানে দুর্গাপুজোর জৌলুস উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তার মধ্য়ে ঘুরে দেখতে পারেন দেশবন্ধু পাড়ায় সুব্রত সংঘ, দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাব, ইয়ং মেন অ্যাসোসিয়েশেন, ভক্তিনগরের অগ্রণী সংঘ, হাকিমপাড়ায় জেটিএস, অগ্রগামী সংঘ, উপকার অ্যাথলেটিক., আশ্রমপাড়ায় আমতলা ক্লাব, হায়দরপাড়ার হায়দরপাড়া সর্বজনীন, ডাঙ্গিপাড়ার স্বস্তিকা যুবক সংঘ, প্রধাননগরের নবাঙ্কুর সংঘ, মাল্লাগুড়ি অ্যাথলেটিক, চম্পাসারির জাতীয় শক্তি সংঘ ও পাঠাগার, মাটিগাড়ার মায়াদেবী ক্লাব, মিলনপল্লি সার্বজনীন, শক্তিগর সার্বজনীন, উজ্জ্বল সংঘ. সেন্ট্রাল কলোনি সর্বজনীন, রথখোলা স্পোর্টিং ক্লাব, রবীন্দ্র সংঘ, সংঘশ্রী ক্লাব, সারদা সেবক সংঘ. সূর্যনগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন, অরবিন্দ যুবক সংঘ মিস করা যাবে না। এছাড়াও ছোট-বড় কিছু পুজো আরও আছে।
জলপাইগুড়ি
অসম মোড়, মুহুরিপাড়া, ধূপগুড়ি মিলন সংঘ, জলপাইগুড়ি দিশারি ক্লাব, সানরাইজ় ক্লাব, ময়নাগুড়ি বিবেকানন্দ ক্লাব, পাণ্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি, বামন পাড়া সর্বজনীন পাতকাটা কলোনি অগ্রণী সংঘ ও পাঠাগার, কদমতলা, রায়কতপাড়া, বেগুনটারির পুজো বিখ্যাত। এছাড়া আরও বহু পুজো রয়েছে যেগুলি চোখ টানবেই।
উত্তর দিনাজপুর
রায়গঞ্জ সদর, রায়গঞ্জ শাস্ত্রী সংঘ, রয়্যাল স্পোর্টিং, রূপহার যুব সংঘ, অরবিন্দ স্পোর্টিং, কমল মেমোরিয়াল, করণদিঘি ব্লক সার্বজনীন, আদর্শ সংঘ, মধ্য আখানগর শেঠ কলোনির পুজো না দেখলেই নয়। অন্য আরও বহু পুজো রয়েছে যেগুলি রাজ্যের যে কোনও মণ্ডপের সঙ্গে পাল্লা দেবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর
কচিকলা নাট্য অ্যাকাডেমি, গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাব, চিত্তরঞ্জন স্পোর্টিং, গঙ্গারামপুর ব্লকপাড়া নাট্য ক্লাব, আর্য সমিতি, আমার ফ্রেন্ডস স্টাফ ক্লাব, বাসুদেবপুর বিপ্লবী সংঘ,সীমান্ত শিখা ক্লাব, ত্রিধারা ক্লাবের নাম বিখ্যাত। তাছাড়া আরও পুজো আছে যেগুলো আকর্ষণীয়।
আলিপুরদুয়ার
নিউটাউনবাড়ি মন্দির সমিতি, উপল মুখর ক্লাব, মশলাপট্টি সর্বজনীন, লোহারপুর ইউনিট, বাবুপাড়া ক্লাব, ফালাকাটা মুক্তিপাড়া, কিশোর সংঘ, যুব সংঘ ক্লাব জেলার উল্লেখযোগ্য পুজো। আরও কিছু পুজো আছে যেগুলি দেখতে আসতেই পারেন।
কোচবিহার
মদনমোহনবাড়ি পুজো কমিটি, সুভাষপল্লি সোস্যাল ওয়েলফেয়ার, বলরামপুর কালীবাড়ি দুর্গাপুজো কমিটি, ভারত ক্লাব ও ব্যায়ামাগার, উত্তরপাড়া ব্যবসায়ী সমিতি, কোচবিহার নিউটাউব ইউনিট, শহিদ কর্নার পুজো কমিটি, গোসানি রোড পুজো কমিটি, দিনহাটা সব্যসাচী সংঘ পুজো কমিটি।
মালদহ
২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি, মালদা সদর, ইউনাইটেড ইয়ংস, মালদা শিবাজী সংঘ, কৃষ্ণপল্লি কল্যাণ সংঘ, সিংহতলা সর্বজনীন, দিলীপ স্মৃতি, বিষ্ণুপুর আমরা কজন, ছাতিনাকান্দি মঠতলা, বাবুলবোনা ইয়ুথ কর্নার, নর্থ সিংহতলা তিতাস সংস্থা,বালুচর ৯ এর পল্লী, চুনাখালি সর্বজনীন, গোলাপবাগ চিলড্রেন পার্ক, ২৪ পল্লি সর্বজনীন বিখ্যাত পুজো।
কালিম্পং
কালিম্পংয়ে বিগত কিছু বছর ধরে পুজোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নিউ চিলড্রেনস ক্লাব, অলস্টার ইউথ ক্লাব, রোনাল্ডসে গ্রাম বিকাশ সমিতি, মখমলি ভিলেজ ওয়েলফেয়ার, কালিম্পং ভিলেজ ওয়েলফেয়ার ক্লাব, কালিম্পং সর্বজনীন, আমিগোস ইউথ ক্লাব, মেনরোড বয়েস ক্লাবের পুজো আশপাশে থাকলে দেখতে পারেন।
দার্জিলিং ও কার্শিয়াং
দার্জিলিংয়ের নৃপেন্দ্রনারায়ণ বেঙ্গলি হিন্দু হলের পুজো বিখ্যাত। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোয় নেতাজি, বিবেকানন্দ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনরা এসে গিয়েছেন। এছাড়া কার্শিয়াংয়ের সমসাময়িক রাজরাজেশ্বরী হলের পুজোতে জেল্লা না থাকলেও অফবিট পুজো হিসেবে ঐতিহ্য পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
সব জায়গার পুজো মোটেও কয়েকদিনে দেখা যাবে না। বিশেষ করে শিলিগুড়ি ও মালদার পুজোর সংখ্যার কোনও শেষ নেই। ছোট-বড়-মাঝারি-মেগা পুজো যাই হোক না কেন, শুধু যদি উত্তরবঙ্গের পুজো দেখবেন বলে আসেন, তাহলে বাকি জেলার পুজোগুলি দেখেই শিলিগুড়ি আসুন। কারণ শিলিগুড়িতে বড় পুজো থাকবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।