শিলিগুড়িতে বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসক দিবস ও ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালিত হল সাড়ম্বড়ে। যেহেতু ডক্টরস ডে। তাই চিকিৎসায় সুবিধার জন্য বেশিরভাগ অনুষ্ঠানের সঙ্গে ছিল রক্তদান শিবির।
বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভারতরত্ন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় মহাশয়ের ১৩৯ তম জন্মজয়ন্তী এবং ৫৯ তম প্রয়াণ দিবস উদযাপন হল শিলিগুড়ি পুরনিগমে।
উপস্থিত ছিলেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা। চেয়ারম্যান গৌতম দেব, সদস্য অলক চক্রবর্তী, বিবেক বৈদ, রঞ্জন সরকাররা হাজির থেকে অনুষ্ঠানে বিধান রায়ের অবদান স্মরণ করেন।
শিলিগুড়ি কলেজের প্রাক্তনী সংসদ ও শিলিগুড়ি কলেজের উদ্যোগে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।
উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব, কলেজ অধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ, পরিচালন সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত কর সহ অন্যান্যরা।
এদিন শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের উদ্যোগে স্কুল প্রাঙ্গণেই ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
সৃষ্টি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল দার্জিলিং পাবলিক স্কুল চত্বরে।
আঠারোখাই অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে রক্ত দান শিবিরের আয়োজন।
ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন ১ জুলাই দিনটি সারা ভারতে "চিকিৎসক দিবস" রূপে পালিত হয়েছে। শিলিগুড়ির ৭ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে ঋষি ভবনে চিকিৎসক দিবস উদযাপন করা হয়।
এদিন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অর্থানুকূল্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় মহাশয়ের আবির্ভাব ও তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের পূর্ণবায়ব মূর্তি স্থাপন করা হয়।
এই মার্কেটটি স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। শিলিগুড়িতে বড় যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলি বিধান রায়ের পরিকল্পনায় করা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বিধান মার্কেট সহ আরও অনেককিছু। তাই তাঁকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি ছিল।
এই মার্কেটটিতে আগে একটি ছোট আবক্ষ মূর্তি ছিল। সেটির জায়গায় একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেটি বাস্তবায়িত হল এতদিনে।
এ ছাড়াও বিধান রায়ের স্মরণে মার্কেট লাগোয়া রাস্তাটিরও নামকরণ করা হয়েছিল আগেই। সেবক রোড এবং হিলকার্ট রোডের সঙ্গে যুক্ত এই রাস্তাটি শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা এই বিধানরোড টিই।