প্রায় দুই মরশুম সবহ রকম খেলা বন্ধ। ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, কোনওটাই মাঠে গড়ায়নি বল। তবে মাঠের বাইরে অন্য খেলায়, অন্য ময়দানে নিজেদের দায়বদ্ধতা প্রকাশ করলো শিলিগুড়ির রেফারি, আম্পায়াররা।
শিলিগুড়ি রেফারিজ অ্যান্ড আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাদের প্রয়াত চার সদস্যের স্মরণে রবিবার করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রক্তদান করার উত্তম বিকল্প বেছে নিলেন।
এদিন সংস্থার সদস্যদের মধ্যে ৩৫ জন রক্ত দান করেন। সংগৃহীত রক্ত তুলে দেওয়া হয় একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাংকের হাতে।
অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রচুর লোকের রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সব রাজনৈতিক দল ও জনপ্রতিনিধিরা।
এদিন রেফারি-আম্পায়ারদের রক্তদান শিবিরে হাজির হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য ও নেতারা। সকলেই খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত ও পৃষ্ঠপোষক।
এদিন রক্তদান শিবির উপলক্ষে হাজির ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব, বিধায়ক শংকর ঘোষ, নান্টু পাল সহ অন্যরা।
পরে বিকেলে ৪ প্রয়াত সদস্য নিখিল চক্রবর্তী, বিকাশ লামা, সঞ্জিত সাহা এবং গৌতম গুহ-এর স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এদের প্রত্যেকেই করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ সহ অন্যরা। ছিলেন সমস্ত সদস্যরাও।
তবে রেফারি-আম্পায়ারদের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসা এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তারা কাঙালি ভোজন কিংবা করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য করেছে।
সংগঠনের সম্পাদক পরিমল ভৌমিক জানান, খেলাধুলা সমাজের বাইরে নয়। এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রধান কর্তব্য। সব ঠিক হলে আবার খেলা হবে মাঠে।
এদিন দিনভর উপস্থিত থেকে সমগ্র কর্মসূচি সাফল্যমন্ডিত করেন রেফারি-আম্পায়াররা। যাঁরা রক্ত দিয়েছেন, তাঁদের হাতে প্রয়াত ক্রীড়া সংগঠক ও সংস্থার এক সদস্য়ের মা হেনা দত্তমজুমদারের নামে শংসাপত্র ও স্মারক তুলে দেওয়া হয় সংস্থার তরফ থেকে।