ভুটান পাহাড়ে ভারী বর্ষণের জেরে তোর্ষা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকল দলসিংপাড়ার রণবাহাদুরবস্তিতে। বাঁধ ভেঙে নদীর জল গ্রামে ঢুকতেই গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ যায়গায় চলে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। পাহাড়ি নদীর ঘোলা জলে ক্ষতিগ্রস্ত কালচিনি ব্লকের বেশ কয়েকটি চা বাগান।
আগেই এই নদীর ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত কালচিনি ব্লকের বিস্তীর্ন অঞ্চল। শনিবার ফের নতুন করে ২৫০ মিটার নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারাদের অভিযোগ ব্লক প্রশাসন থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও সাহায্য মেলেনি।
তোর্ষা নদীর ভাঙনের জেরে বক্সা টাইগার রিজার্ভের নীলপাড়া রেঞ্জের অর্ন্তগত প্রচুর পরিমানে দামি মূল্যবান গাছ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে।এ ছাড়াও তোর্ষা নদীর লাগোয়া বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙলের একাধিক রেঞ্জের দামি গাছ নদীর জলে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় এলাকার বাসিন্দারা বলেন আতঙ্কে আমাদের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। ধীরে ধীরে তোর্ষা নদীর বাঁধ যে ভাবে ভাঙতে শুরু হয়েছে তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গোটা বাঁধটা নদীর গ্রাসে চলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখনই যদি নদী বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ না করা হয়, তবে কয়েক দিনের মধ্যেই গোটা রণবাহাদুরবস্তি গ্রামটাই তোর্ষা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাদিন্দা রনজিৎ থাপা, বলাই ছেত্রী, বিবেক থাপা বলেন যে কোন সময় আমাদের সমস্ত গ্রামটা নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।
গ্রাম থেকে শিশু ও মহিলাদের নিরাপদ স্থানে আত্মীয়দের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই নদী বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। ফলে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই নদীর বাঁধ ফাটল ধরে। গ্রামে জল ঢুকে যায়। ইতিমধ্যেই এলাকার চারটি বাড়ি নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। সেচ দপ্তরকে বলেও কোন লাভ হয়নি।