করোনার টিকা নিতে এসে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম হয়রানির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারলেন একদল মহিলা। ক্ষিপ্ত একদল মহিলার আক্রমণে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকের যশোডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতাল।
মহিলাদের ঢিলের আঘাতে সামান্য জখম এক অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী। মহিলাদের হামলায় হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
করোনার টিকা নিতে এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অসুস্থ চার মহিলা। উত্তেজিত মহিলারা ভেঙ্গে দিলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজা। ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যশোডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে আসেন শামুকতলা থানার ওসি দিপঙ্কর সাহা এবং দুই নম্বর ব্লকের বিডিও চিরঞ্জিত সরকার।
সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের যশোডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে। ভ্যাকসিন নিতে আসা মহিলাদের অভিযোগ, সোমবার ভোরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তারা এসে লাইনে দাঁড়ান। অথচ সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত কোন স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে আসেননি।
বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ হাসপাতালে ভ্যাক্সিন দেবার কাজ শুরু করেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। অভিযোগ একেক জন মহিলাকে ভ্যাক্সিন দিতে সময় লাগছিলো প্রায় ২০-২৫ মিনিট করে। এদিকে ভোরবেলা থেকে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়িয়ে অধৈর্য হয়ে উঠছিলো মহিলারা।
এরপর যশোডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভ্যাকসিন নিতে আসা মহিলারা ভ্যাক্সিন কাউন্টারের থাকা স্বাস্থ্য কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারতে থাকেন।
এরপর মহিলারা ধাক্কাধাক্কি করে হাসপাতালের দরজাও ভেঙে দেন । মহিলাদের তান্ডবের ভয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা কাউন্টার ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এদিন হাসপাতাল চত্বরে কোন মহিলা পুলিশ কিংবা সিভিক পুলিশ না থাকায় এত বড় ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের।
মহিলাদের তান্ডবের পর গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকাকরনের কাজ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন বারো বছরের ছেলে, মেয়ে এবং মায়েদের সোমবার যশোডাঙ্গা হাপাতালে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বিষয়টি আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগেই বলে এসেছিল।
সেই মত এদিন ভোরবেলা থেকে প্রচুর মহিলা হাসপাতালে এসে ভিড় জমায়। সকাল পৌনে বারোটা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। কিন্তু মহিলাদের কিছুতেই লাইনে দাঁড় করানো যাচ্ছিল না।