রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে ওই তৃণমূল নেতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল জাতীয় সড়কের পাশে খোলা মাঠ থেকে। শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার বাসতোপি এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকা থমথমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল নেতার নাম কাশেম শেখ (৪০)। দেহটি উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ধানজমি থেকে। তিনি ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েতের গোটলু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ওই এলাকায় তৃণমূলের বুথ প্রেসিডেন্টও ছিলেন কাশেম। স্থানীয় বাসিন্দারাই সকালে দেহটি ওভাবে পড়ে থাকতে দেখেন।
তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি ছিলেন
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের গটলুর বাসিন্দা কাশেম শেখ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গটলু বুথ এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবেই কাজ করেন। শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রাতভর চলে খোঁজাখুঁজি। তবে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ির অদূরে বাসতোপ গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তৃণমূল কর্মীর দেহ পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। রায়গঞ্জ থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
বিধায়কের দাবি ব্যক্তিগত রোষ
দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক মোশারফ হোসেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদেই খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। পুলিশ সুপার সানা আখতারের দাবি, খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী।
কেন খুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে
তবে কীভাবে খুন হলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে কাশেমকে। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় পুলিশ আধিকারিকরা। তবে নিহতের দাদা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, এটা রাজনৈতিক নয় বলেই মনে হচ্ছে। তাঁর ধারণা কাশেম কাপড়ের বড় ব্যবসায়ী। কয়েক কোটি টাকা তার লেনদেন। অনেকের সঙ্গে তার লেনদেনের সম্পর্ক আছে। সে কারণেও খুন হতে পারে। পুলিশ সব রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।