scorecardresearch
 

Partha Chatterjee's Ph.D. Degree Is In Question : পার্থর PhD নিয়ে এবার প্রশ্ন, সরব বিরোধীরা

Question About Partho Chatterjee's Phd Degree: এবার পার্থ-র পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন, জড়িতদের গ্রেফতারির দাবি বিরোধীদের। কী কী অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, জেনে নিন?

Advertisement
Partha Chatterjee's Ph.D. Degree Is In Question : এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন Partha Chatterjee's Ph.D. Degree Is In Question : এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন
হাইলাইটস
  • এবার প্রশ্নের মুখে পার্থর PhD
  • একযোগে সরব বিরোধীরা
  • একাধিক অনিয়মের অভিযোগ

ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতার (Arpita) ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকার উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আরও অনেক মূল্যবান সম্পত্তি। যার জেরে গ্রেফতার হতে হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Education Minister Partho Chatterjee)। তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্যতো বটেই সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবারই পার্থবাবুকে ভুবনেশ্বরে (AIIMS Bhubaneswar) চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারই মধ্যে এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি (PhD) ডিগ্রি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা (Opposition)। শুধু প্রশ্ন নয় পার্থবাবুর ওই ডিগ্রি তদন্ত করে তা বাতিলের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্ত রকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিও উঠছে।

আরও পড়ুনঃ Water Drinking Threat: প্রচুর জল খাওয়ার অভ্যাস? সতর্ক হন, হতে পারে প্রাণঘাতী

২০১৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পান পার্থবাবু

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University Of North Bengal) থেকে ২০১৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৩ সালের রেজিস্ট্রেশন করার এক বছরের মধ্যেই ২০১৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে তখন প্রশ্ন উঠলেও তা বিশেষ ধোঁপে টেঁকেনি। নিয়ম অনুসারে একজন গবেষককে গবেষণার বিষয়ে ন্যূনতম দু'বছর কাজ করতেই হবে। অথচ তৎকালীন উপাচার্যের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে মাত্র এক বছরের মধ্যে গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী।

নিয়মবিরুদ্ধভাবে ডিগ্রি বলে অভিযোগ

এই অনিয়ম নিয়ে তখনও প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বিশেষ বিষয়টি এগোয়নি। পার্থবাবু গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফের সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অবশ্য শুধু গবেষণাপত্র দ্রুত জমা দেওয়াই নয় আরও অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তাঁরা। গবেষণা করতে হলে রিসার্চ এলিজিবিলিটি টেস্ট পাশ করা এবং ছয় মাসের কোর্স ওয়ার্ক করা বাধ্যতামূলক। কাগজে-কলমে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি বিভাগের অধীনে কোর্স ওয়ার্ক করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে দেখানো হয়। কিন্তু তার মধ্য়ে ৬ মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে কোর্সওয়ার্ক করার কথা একজন ছাত্রের। সে সময় পার্থবাবু শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং বাধ্যতামূলক সেই কোর্স ওয়ার্ক তিনি করেছেন কি না তা কেউ দেখেনি। এমনকী পাবলিকেশন ছাড়াই বোর্ড অফ রিসার্চ রেজিস্ট্রার্ড গবেষণাপত্র ছাড় পেয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ Face Yoga: মুখে মেদ জমায় বয়স্ক দেখাচ্ছে? এই যোগেই হবে টানটান

পার্থবাবুর গবেষণার তৎকালীন সুপারভাইজার, হয়ে যান উপাচার্য

পার্থবাবুর সুপারভাইজার ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক অনিল ভূঁইমালি (Anil Bhuinmali)। পরে অনিলবাবু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় (Raigunj University) উপাচার্য (Vice Chancellor) হয়ে যান। যার পিছনেও পার্থবাবুর হাত রয়েছে বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। পার্থবাবুর রিসার্চের পরীক্ষক যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সেই সময় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের এবং অপরজন সেন্টার ফর সোশ্যাল সায়েন্স এর অধ্যাপক ছিলেন। দুজনেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এবং পরবর্তীতে নানারকম সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

বিরোধীদের দাবি

যখন পার্থবাবু পিএইচডি ডিগ্রি পান সেই সময় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক অধ্যাপিকা বর্তমানে একাধারে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন। তার উপাচার্য হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partho Chatterjee) ডিগ্রী পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা দরকার। এ বিষয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, "শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীনই পার্থবাবু শিক্ষাকে কলঙ্কিত করেছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক বা আধিকারিকরা তাকে ডিগ্রি পাইয়ে দিতে বাড়তি সুবিধা নিয়েছেন, তা নিয়ে তদন্ত করে পদক্ষেপ করা উচিত।" রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও অনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছেন। তবে যাদের নাম পার্থবাবুর সঙ্গে জড়িয়েছে তাদের কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ।

আরও পড়ুনঃ North Bengal Weather Forecast: উত্তরে আবহাওয়ার বড়সড় পরিবর্তন, বৃষ্টি হবে ? পূর্বাভাস

শিলিগুড়িতেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ

পাশাপাশি দলেরই একাংশ জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে একাধিক এরকম অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অনেক চাকরি এবং সুবিধার জন্য শহরের এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে নাম পাঠানো হত বলে অভিযোগ। শিলিগুড়িতে অনেকে প্রাথমিক চাকরিতে পার্থবাবুর কৃপা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২০০ এমন নাম সামনে এসেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি বিধায়ক শংকরবাবু অভিযোগ করেছেন এই প্রত্যেকটির তদন্ত হওয়া উচিত এবং একবার যখন দুর্নীতি সামনে এসেছে তখন জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনা শিক্ষা খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এবিভিপি, এসএফআই সহ অন্যান্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তাঁরা। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপিও সরব হয়েছে দুর্নীতি নিয়ে।

 

Advertisement