scorecardresearch
 

'আমিও হাসপাতালে ছিলাম, কেউ আসেনি', মুকুল প্রসঙ্গে দিলীপ

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হলেন মুকুল রায়। কিন্তু তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও স্বাস্থ্য বিষয়ে দল খোঁজখবর রাখেনি বলেই অভিযোগ উঠছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে যেতেই গেরুয়া শিবির প্রমাদ গুনেছে, আর তাই তড়িঘড়ি হাজির হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, ওয়াকিবহাল মহলে এমন প্রশ্নও উঠছিল। এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement
মুকুল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ মুকুল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ
হাইলাইটস
  • অভিষেক যেতেই হাসপাতালে হাজির দিলীপ
  • পাত্তা দিতে রাজি নন মুকুল রায়
  • তাই নিয়েই এবার প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতির

অসুস্থ মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হতেই সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বুধবার রাতেই অভিষেক যেতে বাইপাস সংলগ্ন ওই বেসরকারি হাসপাতালে হাজির হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরের দিন সকালে মুকুল রায়কে  ফোন করে কৃষ্ণাদেবীর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হলেন মুকুল রায়। কিন্তু তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও স্বাস্থ্য বিষয়ে দল খোঁজখবর রাখেনি বলেই অভিযোগ উঠছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে যেতেই গেরুয়া শিবির প্রমাদ গুনেছে, আর তাই তড়িঘড়ি হাজির হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, ওয়াকিবহাল মহলে এমন প্রশ্নও উঠছিল। এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কেমন আছেন মুকুল জায়া? খোঁজ নিতে এবার ফোন স্বয়ং মোদীর

কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তাতে অনেকেই মনে করছেন পুরনো দলে ফিরতে পা বাড়িয়ে রেখেছেন শুভ্রাংশু। আর এই আবহেই হাসপাতালে অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাৎ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে সাংবাদিকদের সামনে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইলেন না দিলীপ। 'বললেন, এ সময় আত্মীয়স্বজনের মনোবল বাড়ানো দরকার। পরষ্পরের পাশে থাকা, সহযোগিতা করা উচিত। সংকটের সময় সব ভুলে গিয়ে একসঙ্গে আসাই ভালো। কষ্টের সময় একসঙ্গে থাকা উচিত। পূর্ব পরিচিত, দেখা করতেই পারেন'।  

অসুস্থ মুকুল রায়ের স্ত্রী, হঠাত্‍ হাসপাতালে দেখতে গেলেন অভিষেক

এদিকে দিলীপ ঘোষের হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টিকে নাকি তেমন গুরুত্বই  দেননি মুকুল রায়। দিলীপ প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, কেন গিয়েছিলেন তা তিনি জানেন না। কেননা দিলীপ ঘোষ যে সময় হাসপাতালে গিয়েছিলেন, সেই সময় ছেলে  শুভ্রাংশুও সেখানে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি, যোগাযোগ হয়নি, যে কেউ হাসপাতালে যেতে পারেন, দেখা করতে পারেন, তাতে আপত্তির কিছু নেই। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, জিনি মুকুল রায়ের স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানতেন। কিন্তু কোভিড হাসপাতালে সাধারণত কেউ যাননা। তিনি (দিলীপ ঘোষ) যখন করোনা আক্রান্ত হন কেউ দেখতে আসেননি। তাই মিডিয়া যেন এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি না করে।

Advertisement

দিলীপ-মুকুল সম্পর্কের শৈত্য
বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতির সঙ্গে দলের রাজ্য সবাপতির সম্পর্কের শৈত্য বহুদিনের। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ও বাইরে রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা-নেত্রীই সেটা জানেন। দিলীপ ঘোষের হাসাপাতালে যাওয়া প্রসঙ্গেও মুকুলের প্রতিক্রিয়া তাই সকলের নজর কাড়ছে। মুকুল দাবি করছেন,  ‘‘উনি আমাকে বা অন্য কাউকে বলে তো হাসপাতালে যাননি। কাকে দেখতে গিয়েছিলেন, তা-ও আমি জানি না!’’ যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ফোন পেয়ে তিনি যে খুশি, তা ধরা পড়েছে মুকুল রায়ের কথায়।

 

Advertisement