Dilip Ghosh on WB CM Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক নামে পাঠশালা চালাচ্ছেন। একটি সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)-কে গালমন্দ করছেন। শনিবার হুগলির তারকেশ্বরে এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (WB CM Mamata Banerjee)-কে বিঁধলেন বিজেপি সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
পাঠশালা!
এদিন দিলীপবাবু (Dilip Ghosh) 'দিব্য কাশী, ভব্য কাশী' কর্মসূচিতে তারকেশ্বর মন্দিরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (WB CM Mamata Banerjee) প্রশাসনিক বৈঠকের সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক নামে পাঠশালা চালাচ্ছে। কিন্তু একটি সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালমন্দ করছেন।
আরও পড়ুন: মিছিলে BJP-র রূপা-অনিন্দ্য কেন? শতরূপকে তিরস্কার করল CPIM
প্রশাসন-পার্টি এক করে দিয়েছেন
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী সরকার প্রশাসন এবং পার্টি প্রথম দিন থেকেই এক করে গুলিয়ে ফেলেছেন। কোন মঞ্চকে কোথায় ব্যবহার করতে হবে। উনি এটা বুঝে উঠতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: BJP-র বাম-দশা! ৪-এর মধ্য়ে ৩ আসনে জামানত খোয়াল পদ্ম
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এটাও অভিযোগ করেন, সারা দেশে উন্নয়ন এবং সংস্কৃতি চর্চা হয়। কিন্তু বাংলাতে তৃণমূল সারা বছর জুড়ে শুধু রাজনীতি করে। বারবার হাইকোর্টের থাপ্পড় খেয়ে রাজ্য সরকারের হুশ ফেরে না।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার মেনুতে 'হালাল মাংস' নিয়ে বিতর্ক, কী জিনিস সেটা?
তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ
দিলীপ ঘোষ বলেন আসলে তৃণমূল পার্টি ও সরকারে রুটে ভেতরে দুর্নীতি ঢুকে গিয়েছে। ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবথেকে বড় দুর্নীতি হচ্ছে বাংলার চিট ফান্ড দুর্নীতি। দিলীপ ঘোষ জানান সিবিআই কোর্টের তদারকিতে চিট ফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে। এবং সিবিআই যাকে প্রয়োজন মনে করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে। সিবিআই (CBI)-এর কাজকে প্রশংসা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দু'হাতে কোনও ক্রমে ঢাকার চেষ্টা! পুনমের বোল্ড TOPLESS ছবি ভাইরাল
হাওড়া নিয়ে
হাওড়া পুরসভা বিল নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিষ্কার করা উচিত।
আরও পড়ুন: ব্লাড প্রেশারে ভুগছেন? মুলো খেয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, এছাড়াও...
তিনি আরও জানান, রাজ্যপাল তো বলেই দিয়েছেন বিল সম্বন্ধে আমি জানতে চেয়েছিলাম। আমাকে পরিষ্কার করে জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে।
তিনি আরও জানান, এটা পরিষ্কার করা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালকে কনফিডেন্সে নেওয়া। তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে, অপমান করে, গালাগাল দিয়ে যদি মনে করে জোর করে করিয়ে নেব, এটা ঠিক নয়। গণতন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য সরকার, বিধানসভা, রাজ্যপাল একসঙ্গে চলা উচিত।