পুরসভা নির্বাচনে সবুজ ঝড় গোটা বাংলা জুড়ে। ব্যতিক্রম দার্জিলিং ও তাহেরপুর। দার্জিলিং পুরসভা জিতেছে হামরো পার্টি। আর তাহেরপুর পুরসভা গিয়েছে বামেদের দখলে। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে গোটা বাংলায়, এই মুহূর্তে কার্যত লালঝান্ডাকে টিকিয়ে রেখেছে নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা। তাহেরপুরের মোট ১৩টি আসনের মধ্যে বামেদের দখলে গিয়েছে ৮টি ওয়ার্ড। সেগুলি হল ২, ৩, ৪, ৫, ৭, ৯,১০ ও ১৩। বাকিগুলি গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।
এই জয় নিয়ে রীতিমতো উচ্ছসিত বামেরা। আগামী ৫ বছরে মানুষকে সম্পূর্ণ পরিষেবা দিতেও বদ্ধপরিকর তারা। সেক্ষেত্রে কোন কোন নাগরিক পরিষেবার ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছেন জয়ী প্রার্থীরা? এই বিষয়ে জয়ী বাম প্রার্থী জীতেন্দ্র সরকার (জনার্দন সরকার) জানাচ্ছেন, সরকারি প্রকল্পের আওতায় যে বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে সেটা যাতে মানুষ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করতে পারেন সেই বিষয়ে বিশেষ নজর দেবেন তাঁরা।
এছাড়া করোনাকালে রাস্তাঘাটের কাজ আটকে ছিল, সেগুলিও যাতে ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয় সেই দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন জনার্দন সরকার। পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হবে নিকাশী ব্যবস্থার ওপরেও। তাছাড়া শ্মশান ঘাট, পিকনিক স্পট নিয়েও বিবিধ প্রকল্প নেওয়া হতে পারে বলে জানালেন জনার্দন সরকার।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন দখল করতে পারেনি বামেরা। পরবর্তী সময়ে উপনির্বাচনেও বামেদের আসন ছিল শূন্য। তারপর কলকাতা, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগর পুরনিগম নির্বাচনেও জয়জয়কার ছিল তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে এই পুর নির্বাচনে তাহেরপুরে জয় বামেদের নতুন করে অক্সিজেন দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার মানুষের আশা কতটা পূরণ করতে পারেন তারা।
আরও পড়ুন - '৫ মিনিটের কাজে ২,৬৯,০০০ টাকা বিল!', হাসপাতালের রহস্য ফাঁস করলেন মহিলা