scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

Brain Of Earth : পৃথিবীর নিজস্ব বুদ্ধি রয়েছে, সেই মতোই হয় কাজও...গবেষণার রিপোর্ট

প্রতীকী ছবি
  • 1/14

চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ একদল বিজ্ঞানীর। তাঁদের দাবি, পৃথিবীর নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা আছে। তার নিজস্ব মন ও বুদ্ধি আছে। এটি একটি বুদ্ধিমান গ্রহ। অর্থাৎ পৃথিবী জীবন্ত। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অ্যাস্ট্রোবায়োলজিতে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে প্ল্যানেটারি ইন্টেলিজেন্সের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রহের সমগ্র জ্ঞান ও যুক্তির ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
 

প্রতীকী ছবি
  • 2/14

প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটির নিচে ছত্রাকের বিশাল স্তর রয়েছে। যা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। তারা নিজেদের মধ্যে বার্তা বিনিময় করে। তাদের রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। এটি একটি অদৃশ্য বুদ্ধি প্রদর্শন করে। যার কারণে গোটা পৃথিবীর অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। যদি এই ধরনের প্রক্রিয়াগুলি ধরা পড়ে এবং তদন্ত করা হয়, তাহলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো ঘটনাগুলির জন্য পৃথিবীর প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারব। 

প্রতীকী ছবি
  • 3/14

আদি সময় থেকে ছত্রাকের মতো জীব থেকে শুরু করে মানুষের মতো প্রাণী পৃথিবীতে বিদ্যমান। মানুষের সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে প্লাস্টিক সংকটের সাক্ষী হয়ে আছে আমাদের পৃথিবী। এটি ক্রমাগত কোনও না কোনও উপায়ে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নতুন নতুন প্রক্রিয়ার জন্ম দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যাডাম ফ্রাঙ্ক বলছেন, মানুষ এখনও পৃথিবীর উন্নতির জন্য একত্রিত হতে পারেনি। 
 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 4/14

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরুন গাছ এবং গাছপালা একটি সম্প্রদায়। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা বিশ্বব্যাপী একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। যাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে। প্রক্রিয়াটি সমগ্র পৃথিবীতে ঘটছে। বিনিময়ে পাওয়া গেল অক্সিজেন। অক্সিজেন আমাদের পৃথিবীর পুরো প্রক্রিয়াকে বদলে দিয়েছে। আসলে, গাছ এবং গাছপালা নিজেদের জন্য কাজ করে, কিন্তু তারা পৃথিবীর বুদ্ধিমত্তার একটি অংশ।
 

প্রতীকী ছবি
  • 5/14

পৃথিবীতে অবস্থিত প্রাণকে যদি সম্মিলিতভাবে দেখা যায়, তাহলে সেটিকে বলা হয় জীবমণ্ডল। এটি পৃথিবীর বুদ্ধিমত্তা, মন, মস্তিষ্ক, যৌক্তিক শক্তি এবং উপলব্ধিকে দেখায়। জীবজগতের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী একটি নতুন জীবন পেয়েছে। পৃথিবীর এক কোণে কিছু ভুল হলে অন্য কোণে এমন কিছু করে, যা ভারসাম্য তৈরি করে।
 

প্রতীকী ছবি
  • 6/14

এই গবেষণায় যাঁরা যুক্ত তাঁরা হলেন অ্যাডাম ফ্রাঙ্ক, হেলেন এফ, ফ্রেড এইচ. গোয়েন, রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যার অধ্যাপক, প্ল্যানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ডেভিড গ্রিনস্পুন এবং অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সারাহ ওয়াকার। গবেষণা করার সময়, বিজ্ঞানীরা শুধু জোর দিয়েছিলেন কীভাবে জীবজগৎ পৃথিবীকে পরিবর্তন করছে। পৃথিবী কাভাবে পরিবর্তন সাড়া দিচ্ছে। সে একরকম ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এটি ব্যাখ্যা করার জন্য, বিজ্ঞানীরা চারটি পর্যায় গণনা করেছেন। 


 

প্রতীকী ছবি
  • 7/14

Immature Biosphere
লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে কোনও প্রাণ ছিল না। প্রযুক্তি ছিল না। অণুজীব ছিল, কিন্তু গাছপালা ছিল না। পৃথিবীতে এমন প্রাণ ছিল না যা তার বায়ুমণ্ডল, জলমণ্ডল বা অন্যান্য গ্রহ শক্তিকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। তাই এই সময়টিকে অপরিণত জীবমণ্ডল বলা হয়।

আরও পড়ুনরোজ মাত্র ৭ টাকা বিনিয়োগ, ৫ হাজার টাকা পেনশন! কীভাবে?

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 8/14

Mature Biosphere
এটাই আজকের পৃথিবীর আসল চেহারা। এটি২৫০ কোটি বছর থেকে ৫৪ কোটি বছরের মধ্যে শুরু হয়েছিল। প্রথমে মহাদেশ হয়ে ওঠে। গাছের জন্ম হয়। সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া শুরু হয়। অক্সিজেন তৈরি হয়। বায়ুমণ্ডলের সৃষ্টি হয়। ওজোন স্তর গঠিত হয়। জীবমণ্ডল তৈরি হতে থাকে। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 9/14

Immature Technosphere
পৃথিবীর অপরিণত বায়োস্ফিয়ারের মতো, আমরা বর্তমানে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার অপরিণত সময়ের মধ্যে বাস করছি। অর্থাৎ পৃথিবীতে যোগাযোগের মাধ্যম আছে, যাতায়াতের উপায় আছে। প্রযুক্তি আছে। বিদ্যুৎ আছে। কম্পিউটার আছে। কিন্তু এটা এখনও অপরিণত। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 10/14

Mature Technosphere
এটি সেই সময়ের কথা যখন পৃথিবী ভবিষ্যতে থাকবে। অ্যাডাম ফ্রাঙ্ক ব্যাখ্যা করেছেন যে, সমস্ত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা পৃথিবীর উপকারে লাগবে। বিশ্বব্যাপী, আমরা পৃথিবী থেকে যতটা নেব তার চেয়ে বেশি পৃথিবীতে ফিরে আসবে। পারস্পরিক সমর্থন থাকবে। তবেই একটি পরিণত কারিগরি পরিবেশ গঠিত হবে।
 

প্রতীকী ছবি
  • 11/14

অ্যাডাম ফ্রাঙ্ক জানাচ্ছেন যে গ্রহটি সর্বদা পরিণত এবং অপরিণত অবস্থার মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়। যে কোনও গ্রহের বুদ্ধি তখনই তৈরি হয় যখন তার চারপাশে পরিণত সিস্টেম কাজ করে। এবার প্রশ্ন হল আমরা পরিণত জীবমণ্ডলে পৌঁছেছি, কিন্তু পরিপক্ক টেকনোস্ফিয়ারে কীভাবে পৌঁছব? কিন্তু আমরা এখনও তা বুঝে উঠতে পারিনি।
 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 12/14

পৃথিবীর বুদ্ধিমত্তা খুবই জটিল একটি ব্যবস্থা। প্রশ্নও উঠছে যে একটি গ্রহের বুদ্ধিমত্তা কীভাবে নিজেই চলতে পারে? পরিণত টেকনোস্ফিয়ার মানে হল পৃথিবীর সমস্ত প্রযুক্তিগত সিস্টেমকে পৃথিবীর সঙ্গে কোনওভাবে সংযুক্ত করা যাতে আমাদের পৃথিবী এটি থেকে উপকৃত হতে পারে। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 13/14

অ্যাডাম বলেছেন যে এই সমস্ত জটিল প্রক্রিয়া যখন পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত হবে, তখন পৃথিবী আরও স্মার্ট হয়ে উঠবে। পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে, এই সিস্টেমগুলিও জানবে যে এই কাজটি উপকার করবে এবং ক্ষতি করবে। তারপর জীবজগৎ এবং টেকনোস্ফিয়ার উভয়ই পৃথিবীর উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।

আরও পড়ুনসুন্দরী মডেলের 'দাঁতের দাম' ১৫ লক্ষ টাকা, ফ্যানের আজব অফার


 

প্রতীকী ছবি
  • 14/14

অ্যাডাম আরও জানাচ্ছেন যে আন্তর্জাতিকভাবে কিছু বিপজ্জনক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করার জন্য এবং সৌর শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য, আমাদের কাছে এখনও কোন ধরনের পরিপক্ক প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র নেই। সমস্যা হল আমরা প্রযুক্তিগতভাবে বিকশিত হচ্ছি। কিন্তু পৃথিবী তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না। পৃথিবী যখন আমাদের কম্পিউটার, স্মার্টফোন, স্যাটেলাইট, পরিবহনের মাধ্যম থেকে উপকৃত হবে, তখন একটি পরিপক্ক টেকনোস্ফিয়ার তৈরি হবে। পৃথিবী আরও বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে।
 

Advertisement