অদ্ভূত সব সিদ্ধান্তের জন্য পরিচিত উত্তর কোরিয়ার স্বৈরচারী শাসক কিম জং জন। বিশ্বের দরবারে এফ একবার আলোচনায় রয়েছেন তিনি। এবার কিম জং উন পর্ণ ছবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন। সম্প্রতি যারা পর্ণ দেখেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নিয়েছেন। এক কিশোর পর্ণ দেখায় তার পুরো পরিবারকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশেই পর্ণ দেখার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। আর তার মাঝে উত্তর কোরিয়া থেকে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে ওই কিশোর বাবা-মা বাসায় না থাকাকালীন রাতে পর্ণ ভিডিও দেখছিল। তদন্তকারী আধিকারিকরা বিষয়টি ধরে ফেলে।
ডেইলিএনকে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন শ্রমিক দল স্কুলের ভিতরে বাচ্চাদের পর্ণ দেখার বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। এই কারণে, পুলিশের চোখে যখন ওই কিশোরের কার্যকলাপ চোখে পড়ে তখনি তা রিপোর্ট করা হয়। শাস্তি হিসাবে কিশোর ও তার পরিবারকে জেল দেওয়া হয়, অর্থাৎ তাদের উত্তর কোরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়।
গত বছর থেকে পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছেন কিম জং। উত্তর কোরিয়ায় পর্ণ চলচ্চিত্র নিয়ন্ত্রণে আইনও করা হয়েছে। এর আওতায় ৫ থেকে ১৫ বছর বছর সাজার বিধানও রাখা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই জাতীয় ছবি যারা যোগান দিচ্ছেন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি এক ঘটনায় স্কুলের প্রধানশিক্ষককেও শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।
গতবছর অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে ফিরে আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে জড়িয়ে পড়ছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। ব্রিটেনের এক্সপ্রেস-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার কিশোর কিশোরীদের যৌনতায় 'নিষেধাজ্ঞা' জারি করে তা 'দেশদ্রোহিতা' বলে ঘোষণা করেছেন কোরিয়ার কিম।
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে যৌনতা আইনত নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। তবু আইনের ফাঁক গলে যৌনতায় মেতে ওঠে হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। এই খবর কিমের কানে পৌঁছতেই খেপেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। নাবালকদের যৌনতার জন্য 'পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদ'কেই দায়ী করেছেন কিম জং উন। নিজের দেশে এই ধরনের যৌনতায় ইতি ঘোষণা করতেই পুরনো আইনকেই আরও কঠোর বানিয়েছেন শাসক।
উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং তার কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য পরিচিত। করোনার মহামারির কারণে উত্তর কোরিয়ায় কোভিড নির্দেশিকাও খুব কঠোর। যদিও প্রাথমিকভাবে উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে যে তাদের দেশে করোনা ভাইরাসের কোনও কেস ঘটেনি, যদিও বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান।