অজেয় হয়ে ছিল। তবে দুয়ারে তালিবান। আফগানিস্তানের পঞ্জশিরের কথা বলা হচ্ছে। সেখান থেকে তাজের চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছিল। আফগানিস্তানের বড়সড় অংশ তালিবান দখলে চলে গেলেও টিম টিম করে প্রতিরোধের আগুন জ্বলছিল পঞ্জশিরে। তা ছিল দুর্ভেদ্য।
সম্মুখ সমর
তবে এবার পরিস্থিতির বদল হতে চলেছে। তালিবান তা নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া। তালিবান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি অহমেদ মাসুদের সেনা আত্মসমর্পণ না করে, তা হলে হামলা করা হবে। তালিবানরা আফগানিস্তানের ৩৩টি প্রান্ত দখল করে নিলেও পঞ্জশির অটুট।
প্রতিরোধের পঞ্জশির
আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ আর নিজেকে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি বলে ঘোষণা করা অমরুল্লাহ সালেহ তালিবানকে কড়া টক্কর দিচ্ছেন। ওই এলকারা তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। যারা তালিবানি নেতৃত্ব মেনে নেয়নি।
বাবার দেখানো পথে
বলা যেতে পারে বাবার দেখানো পথেই লড়ছেন ছেলে। আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ সব সময় তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আফগানিস্তানকে সোভিয়েত থেকে দখলমুক্ত করার কাজে জোরদার লড়াই করেছেন। ২০০১ সালে তাঁকে খুন করা হয়। আল-কায়দা তাঁকে খুন করেছে বলে খবর।
ইন্টারভিউতে জানালেন
এদিন তিনি আল-আরবিয়া টিভি চ্যানেলকে এক ইন্টারভিউ দেন আহমেদ মাসুদ। সেখানে তিনি জানান, যুদ্ধ চাই না। তবে যে কোনও রকমের আক্রমণের বিরোধিতা করব। তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় কোনও সমাধান না পাওয়া যায়, তা হলে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়তে পারে। তালিবানি ভাগিদারি নিয়ে দেশ চালানের জন্য এক শক্তিশালী সরকার দরকার। তালিবান কথা বলতে না চাইলে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
হিংসা আর বিদ্রোহ
তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই হিংসা আর বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে সে দেশে। শুক্রবার তার মাত্রা যেন আরও বাড়ল। রাজধানী কাবুলেও সেই ছবি ধরা পড়েছে।
তালিবানবিরোধী লড়াই
এই পরিস্থিতির মধ্যে তালিবানবিরোধীরা কয়েকজন তালিবানকে মেরে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। এবং তারা ৩টি জেলাকে নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল।