Longest Possible Walk: আপনি পৃথিবীর কোনও এক প্রান্ত থেকে যাত্রা শুরু করলেন। হাঁটতে লাগলেন। টুকটুক করে এগিয়ে চলছেন। নদী বা জলধারা না পেরিয়ে কতদূর যেতে পারবেন বলে আপনার মনে হয়?
আরও পড়ুন: Break-up-এর পর জুড়তে চান সম্পর্ক? মেনে চলুন এই ৪ ফর্মুলা
আরও পড়ুন: খেয়েদেয়ে হাতে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ডিগ্রি? ফ্রান্সে সে সুযোগ রয়েছে
ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিমে
আপনি গুজরাত থেকে অরুণাচলপ্রদেশের দিকে চললেন। এটার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার। হেঁটে এই রাস্তা অতিক্রম করতে আপনার ৩-৫ মাস লেগে যেতে পারে। এটা নির্ভর করছে আপনি কত দ্রুত হাঁটছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের প্রিয় 'সর্ষো দা শাগ' পুষ্টিগুণে ভরপুর, ভাল রাখে চুল-ত্বক
উত্তর থেকে দক্ষিণে
এবার ধরুন আপনি শ্রীনগর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই রাস্তা শেষ করতে ৬ মাস লেগে যাবে আপনাকে পেরোতে হবে ৪,১০০ কিলোমিটার।
জল কোথায়
এখানে একটা প্রশ্ন করতে হয়। আর তা হল এই রাস্তা পার করার সময় কোনও নদী বা জলস্রোত থাকবে না? এটা কি সম্ভব? এর একটাই উত্তর। আর তা হল না। তা সম্ভব নয়। এবার আমরা জেনে নেব এমনই কিছু রাস্তার ব্যাপারে।
এঁরা পথে দেখিয়েছেন
আমেরিকা আর্জেন্টিনা থেকে আলাস্কার দূরত্ব মাপবেন বলে ঠিক করেন ব্রিটিশ নাবিক জর্জ মিগন। তিনি ৩০,৬০৮ কিলোমিটার পথ পেরোতে ২,৪৩৫ দিন নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আলাস্কা পৌঁছেছিলেন।
আরও পড়ুন: মদের পুরনো স্টক নিয়ে বেজায় সমস্যায় বারমালিকেরা, বরফ-জলে কাজ হবে না!
অন্যদিক, আমেরিকার আর্মি রেঞ্জার হোলি হ্যারিসন ২০২৮ সালে এই রাস্তা পার করেছিলেন মাত্র ৫৩০ দিনে। তবে তিনি ২৩,৩০৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়েছিলেন।
What is the longest possible walk on Earth? https://t.co/FbFGuVBNa2
— Live Science (@LiveScience) January 23, 2022
হেঁটে যাওয়ার সবথেকে বড়সড় ঘটনা আরও একটি আছে। ২০২০ সালে এই ব্যক্তি গুগল ম্যাপের সাহায্য়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। রাশিয়ার মাগাডানের শেষ করেন। তিনি ২২,১০৪ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়েছিলেন। তবে তাঁর নাম জানান হয়নি।
রোহন-কুশল
সোজা রাস্তা হেঁটে কোনও নদী বা জলের স্রোত না পার করে আপনি কোথায় যেতে পারেন? এই পথ চীন থেকে শুরু করে পর্তুগাল পর্যন্ত যায়। ২০১৮ সালে আয়ারল্য়ান্ডের কর্কের কোলিন্স এয়োরোস্পেস অ্যাপ্লয়েড রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজির ফিজিসিস্ট এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র রোহন চাবুকেশ্বর এভং নতুন দিল্লির আইবিএম রিসার্চ ইঞ্জিনয়র কুশল মুখোপাধ্যায় এই রাস্তা খুঁজে বের করেছেন।
তাঁরা রিপোর্টে বলেছেন, এই রাস্তা ১১,২৪০ কিলোমিটার লম্বা। সেখানে আপনি কোনও নদী বা জলস্রোত পাবেন না। এটার শুরু হচ্ছে চিনের দক্ষিণ-পূর্বে। মাঝে আসবে ১৩টি দেশ। মোঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, লিচেস্টইন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগাল পড়বে।
এই রিপোর্ট ২০১৮ সালে arXiv প্রিপ্রিন্ট ডেটাবেসে প্রকাশিত হয়েছিল। স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউশনের জিআইএস কোঅর্ডিনেটর এবং চিফ কার্টোগ্রাফার ড্যান কোল জানিয়েছেন, রোহন এবং কুশল নিজেদের রিপোর্টে এটা জানিয়েছিলেন, এই রাস্তা রিক্রিয়েশনাল। আপনি গোলাকার কোনও গ্রহে সোজা রাস্তা পেতেই পারেন না। তবে তাঁদের খোঁজা এই রাস্তা দুনিয়ার সবথেকে লম্বা রাস্তা যেখানে কোনও নদী নেই।