ঐন্দ্রিলা শর্মা ও সব্যসাচী চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)হাসপাতালে লড়ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। অসুস্থ হওয়ার পর প্রায় কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টা। এখনও তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন নিউরো আইসিইউ-তে। অভিনেত্রীর পরিবার বা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি এখনও পর্যন্ত। হাসপাতালেই দিন-রাত কাটছে সব্যসাচীর। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত নিরবতা ভাঙলেন ছোট পর্দার বামাক্ষ্যাপা।
ঐন্দ্রিলার ছায়াসঙ্গী সব্যসাচী। তিনি যে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, একথা বোধ হয় আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। কিছুটা বিরক্ত হয়ে সব্যসাচী ফেসবুকে লিখেছেন, "ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না।"
আরও পড়ুন: TRP: পরিবারে সুখবর এসেও তলানিতে 'মিঠাই! বাকিরা কোন স্থানে?
সব্যসাচী- ঐন্দ্রিলার কাছের বন্ধু অভিনেতা সৌরভ দাস। বৃহস্পতিবার তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, "সকলকে বলছি, দয়া করে ঐন্দ্রিলার সম্পর্কে জল্পনা বন্ধ করুন। আমি আর দিব্য আছি সব্যসাচীর সঙ্গে শুরু থেকেই। এই মুহূর্তে ফোন ধরার মতো পরিস্থিতিতে নেই। বিব্রত হবেন না । সঠিক সময় সব্য ঠিক জানিয়ে দেবে, যেমন ও জানায়। আপনাদের উদ্বেগের জন্য ধন্যবাদ। ওঁর জন্য প্রার্থনা করতে থাকুন।"
আরও পড়ুন: নিজের লেখা গান গাইলেন অনির্বাণ! ফ্যানেদের জন্য বড় চমক
অন্যদিকে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, "ওর দুটো হাতই অসাড় ছিল। হাত একটু নেড়েছে, তাই এখন কোমাতে আছে আর বলা যায় না। চোখের পাতা নড়েছিল একটা সময়। পুরোপুরি তাকাতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে ও অনেকটা সুস্থ হয়েছে আগের থেকে। আমরা ঠিক ফিরিয়ে নিয়ে আসবে ওকে। সবাই আশীর্বাদ করুক, যেন ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়, আর আমি কিছু চাই না।"
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত বোন, অনুরাগীদের কাছে অর্থসাহায্য চাইলেন সায়ন
বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। এখনও তিনি আশঙ্কাজনক। রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০ আর পালস্ রেট প্রতি মিনিটে ১১২। শুক্রবার সকালেও পরিস্থিতি একই। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এখনও জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। বিপদ এখনও কাটেনি।
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় ফিরছে একেন বাবু! শৈল শহরের পর এবারের ডেস্টিনেশন রাজস্থান
বারবার পড়ে গিয়েও, গা ঝেড়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন'জিয়ন কাঠি' (Jiyon Kathi)-র জাহ্নবী চ্যাটার্জী ওরফে ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। বছরভর দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, গত বছর এর শেষে জানা যায় দ্বিতীয়বার ক্যান্সারকে হারিয়েছেন লড়াকু অভিনেত্রী। তাঁর জয়ের কথা শুনে অনুগামী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকা অনেকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে শ্যুটিং ফ্লোরেও ফিরছিলেন। কিন্তু ফের ছন্দপতন! ঐন্দ্রিলার পরিবার-পরিজন, অনুগামী থেকে শুরু করে অন্যান্য তারকারা বারবার প্রার্থনা করছেন তাঁর সুস্থ হওয়ার। এখন সকলের অপেক্ষা, ফিট হয়ে, হাসি মুখে তাঁর ফেরার।