ভারতে প্রবেশ করেছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট XE। ভারতে জিনোম সিকোয়েন্সিং পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা INSACOG-এর সাপ্তাহিক বুলেটিনে এই বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই বুলেটিনে দাবি করা হয়েছে যে, করোনার XE ভেরিয়েন্ট ভারতে এসে গিয়েছে। XE Omicron-এর উপ-বংশীয় ভেরিয়েন্ট থেকে প্রায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে এই ভেরিয়েন্টের প্রথম কেস পাওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' (WHO) বলছে, XE ভেরিয়েন্টটি Omicron এর উপ-বংশ BA.১ এবং BA.২ দ্বারা গঠিত এবং এর সংক্রমণ ক্ষমতা BA.২ এর চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। INSACOG-র বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারতে এখনও Omicron (BA.2)-এর প্রভাবশালী রূপ রয়েছে৷ যদিও এটি মানুষকে গুরুতর অসুস্থ করে কিনা সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
XE ভেরিয়েন্টের উপসর্গ
WHO জানাচ্ছে, XE মিউটেশনটি Omicron ভেরিয়েন্টের অংশ হিসাবে ট্র্যাক করা হচ্ছে। নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট হওয়ায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। তবে XE-তে নতুন কোনও উপসর্গ দেখা যাবে বলে এই মুহূর্তে মনে করা যাচ্ছে না। উপসর্গ হিসেবে জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি, শরীরে ব্যথা, ত্বকে জ্বালা বা বিবর্ণতা এবং পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়ার মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থাকতে পারে।
পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি
Omicron XE ভেরিয়েন্টে বদলে গিয়েছে। তার ফলে ইমিউন সিস্টমে থেকে বাঁচার ক্ষমতা এবং সংক্রমণ ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলে এটি ইতমধ্যেই কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
চতুর্থ ঢেউয়ের ঝুঁকি
XE হল BA.১ এবং BA.২-এর রি-কম্বিন্যান্ট এবং এটি ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। তাই XE ভেরিয়েন্ট নতুন ঢেউ সৃষ্টি করলে কেস আরও দ্রুত বাড়তে পারে।
ভারতে কোথায় পাওয়া গিয়েছে XE ভেরিয়েন্টের প্রথম কেস?
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে XE সংক্রমণের প্রথম কেস মুম্বইতে পাওয়া যায়। বিএমএস জানিয়েছিল, ৫০ বছর বয়সী এক বিদেশী মহিলা XE ভেরিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছিলেন। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় যে, ওই মহিলা ভ্যাকসিনের ২টি ডোজই নিয়েছিলেন এবং তাঁর কোনও উপসর্গও ছিলনা। ওই মহিলা গত ১০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসেন। সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যান তিনি।
আরও পড়ুন - PAK জোকারের গলায় সোনু-অরিজিতের গান VIRAL, শুনে মুগ্ধ নেটিজেনরা